Home / মিডিয়া নিউজ / ৫০ বছরে দশ প্রেমে সালমান!

৫০ বছরে দশ প্রেমে সালমান!

প্রেমের কোন বয়স নেই এ কথা এতোদিন শোনেই এসেছি। তবে এবার নিজের চোখে সেই প্রেম

দেখার সুযোগ হলো একটু খানি। বলিউডের ব্যাচেলর খান সালমানের আজ ৫০ তম জন্মদিন।

তবে ৫০ বছর বয়সেও যেন সালমানের মাঝে সেই বয়সের ছাপ বিন্দু মাত্রও বুঝা যাচ্ছেনা। প্রেমিক হিসেবে

আজও পর্দায় অবলীলায় অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। প্রেম নামটি নিয়ে তিনি যতবার পর্দায় সামনে উপস্থিত হয়েছেন,

ততবারই যেন মোহমুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। ১. ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া (১৯৮৯) : সুরাজ বারজাতিয়া পরিচালিত

এই ছবিতে প্রেম নামে অভিনয় করেন সালমান। আবদুর রশিদ সেলিম সালমান খান, তখনও সালমান খান হয়ে ওঠেননি। ছবির দুনিয়ায় নতুন সালমান নিজের প্রথম কাজেই কুড়িয়ে নেন দর্শকদের প্রচুর প্রশংসা। আশির দশকের শেষে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রেম নামে এলেন পর্দায়। ভাগ্যশ্রীর সঙ্গে তার পর্দা রসায়ন দারুণভাবে গ্রহণ করলেন দর্শক। শ্রেণীবিভেদকে ছাপিয়ে তরুণ প্রেমের বিকশিত হওয়ার সেই কাহিনি আজও মনে রেখেছেন দর্শক। সেসময়কার ব্লকবাস্টার ছবিটি আয় করে প্রায় ৬৬০ মিলিয়ন রূপি। ২. পার্টনার (২০০৭) : ২০০২-এর পর কিছুটা বিরতিই নিয়েছিলেন সালমান। তবে প্রেম চরিত্রটি ফেরে দারুণ এক চমক নিয়ে। রোমান্স, কমেডি আর অ্যাকশনের মিশেলে গোবিন্দর সঙ্গে আমরা প্রেমকে পাই একজন প্রেমের গুরুরূপে, যে গোবিন্দকে শেখায় কিভাবে হতে হয় একজন সত্যিকারের প্রেমিক। নিজের সম্পর্ক নিয়েও যথেষ্ট দাম্ভিক আর উদ্ধ্বত এক প্রেমকে খুঁজে পাওয়া যায় ‘পার্টনার’ সিনেমায়। ৩. দিওয়ানা মাস্তানা (১৯৯৭) : পুরো সিনেমা জুড়ে সালমানের হদিস না পাওয়া গেলেও সিনেমার সমাপ্তি সালমানময়।

পুরো সিনেমায় নিজেদের জুহি চাওলার প্রেমিক হিসেবে জাহির করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন অনিল কাপুর ও গোবিন্দ। কিন্তু হার মানতে হয় প্রেমের কাছে, কারণ জুহির পছন্দের মানুষটি তিনি। আর এই প্রেম আর কেউ নন, সালমান খান। ৪. প্রেম রাতান ধান পায়ো (২০১৫) পারিবারিক গল্পের সিনেমায় প্রেম হয়ে আবার ফিরেছেন সালমান খান। সোনাম কাপুরের সঙ্গে তার পর্দা রসায়ন দর্শকপ্রিয়তা তো পেয়েছেই, সঙ্গে দ্বৈত চরিত্রে আদর্শিক দ্বন্দ্বটাও হয়ে উঠেছে উপভোগ্য। এ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অায়ের সিনেমা হয়ে

‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’-এর ঠিক পেছনেই রয়েছে সিনেমাটি। ৫. হাম সাথ সাথ হ্যায় (১৯৯৯) : পারিবারিক এই সিনেমায় দর্শক যে প্রেমকে দেখতে পান তার সঙ্গে আজকের সালমান খানকে মেলাতে বেশ কষ্টই হবে। যৌথ পরিবারে মায়ের আদরের শান্ত ছেলেটি, যে চোখ তুলে কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না – এমনই এক ছেলের চরিত্রের সার্থক রূপায়ন করেন সালমান। প্রেমরূপী সালমানের সঙ্গে সোনালী বেন্দ্রের পর্দা রসায়ন নজর কেড়েছিল। ৬. হাম আপকে হ্যায় কৌন (১৯৯৪) : ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’র পরই পর্দায় প্রেম নামটি যেন সংরক্ষিত থাকতো কেবল সালমানের জন্যই। নব্বইয়ের দশকে প্রেম আবারও ফিরলেন তার প্রেমের জাদু নিয়ে ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ সিনেমায়। মাধুরীর সঙ্গে সালমানের মিষ্টি-দুষ্টু প্রেমের সম্পর্ককে ভীষণভাবে আপন করে নিয়েছিলেন দর্শক।

এই জুটির সংলাপ, পোশাক, গান এবং নাচের মুদ্রাগুলো এখনও এতটাই দর্শকপ্রিয় যে, ২১ বছরের পুরোনো স্মৃতি রোমন্থনে ভক্তরা বারবার এই সিনেমাটি দেখতে কখনোই দ্বিধা বোধ করেন না। ৭. কাহি পেয়ার না হো জায়ে (২০০০) : এবারের প্রেম এমন একজন মানুষ, যে নিজের প্রিয় মানুষটির কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বার বার। বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে রোজগার করা সালমানকে ছেড়ে চলে যান তার প্রেমিকা রাভিনা ট্যান্ডন। আর এদিকে সালমান প্রেমে পড়েন উঠতি অভিনেত্রী প্রিয়ার (রানি মুখার্জি)। সিনেমার শেষ পর্যন্ত প্রেম তার মনের মানুষকে পাবে কি না – সে টানাপড়েন চলতে থাকে। ৮. মেরিগোল্ড (২০০৭) : নব্বইয়ের দশকের রোমান্টিক প্রেমকে এবার দেখা যায় হলিউডি সিনেমায়। ‘মেরিগোল্ড’ নিঃসন্দেহে সালমানের ক্যারিয়ারের ভিন্নধর্মী এক সিনেমা। মার্কিন অভিনেত্রী মেরিগোল্ড লেক্সটন ভারত ঘুরতে এসে প্রেমে পড়েন প্রেমের। শান্ত,

স্বল্পভাষী প্রেমকে সাদরে বরণ করে নিয়েছিল সালমান ভক্তরা। ৯. বিবি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৯) : প্রেম নিয়ে দ্বিধান্বিত প্রেম- নিজের শান্ত, সংসারী, লক্ষ্মী স্ত্রী নাকি এক আবেদনময়ী সুপারমডেল? এমনই এক কাহিনি নিয়ে ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। সালমান ছাড়াও সুস্মিতাসেন, কারিশমা, কাপুর, অনিল কাপুর, টাবুর মতো সে সময়ের বাঘা বাঘা তারকা নিয়ে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে প্রেম চরিত্রের মুখে বলা চটুল সংলাপগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ১০. রেডি (২০১১) : ২০০৯ সালে ‘ওয়ান্টেড’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সালমান হয়ে ওঠেন ব্লকবাস্টার খান। একের পর এক শত কোটির সিনেমা উপহার দিতে থাকেন। ‘রেডি’ সিনেমাটিও ব্যতিক্রম নয়। তবে বেশ কয়েক বছর বিরতির পর সালমান ফিরলেন তার প্রেম চরিত্রটি নিয়ে। আসিনের সঙ্গে তার পর্দা রসায়ন তাদেরকে সে বছরের সবচেয়ে আলোচিত জুটি করে তুলেছিল।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *