





বলিউডের ছবি গুন্ডে , মুঝে শাদী করোগি দেখে এই নায়িকার জন্য খুব ভক্ত হয়ে উঠেছিলাম।






গুন্ডেতে বাঙালী ললনা হিসেবে অনন্য তার পারফর্মেন্স। সেই সময় থেকে তিনি আমার ড্রিম গার্ল।






তাকে কখনও সচক্ষে দেখব ; তেমন দিবাস্বপ্নও কখনও দেখি নি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যে ইউনিসেফের






গুড উইল এম্বাসাডর ; সে তথ্য ভাসা ভাসা জানতাম। ইন্টারন্যাশনাল সহায়তা সংস্থার একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে আমি নগন্য। সেই আমারই কিনা সচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হল প্রিয়াঙ্কাকে। এ যেন না চাইতে হাতে চাঁদ। কক্সবাজারে আমার কাজ করতে আসাও কাকতালীয়। মাত্র কয়েকমাস হল আমি এই রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছি। এর মধ্যেই এই সুবর্ণ সুযোগ। প্রিয়াঙ্কা এখানে এলেন ; দেখলেন। সবাইকে জয় করলেন। সামান্য কিছু সময় সামনা সামনি দেখার সুযোগ তাকে । তাতেই আরও ভক্ত হয়ে উঠলাম।
নায়িকাদের সম্পর্কে আমার ধারনা খুব উচ্চ নয়। সাধারণ মানুষ যেমন ভাবে , তেমনই। এই সাহায্য সংস্থার কর্মী হওয়ার সুবাদে আরও দুয়েকজন নায়ক নায়িকাকে দেখার কপাল আমার হয়েছে। তাতে সাধারণ ভাবনাটাই মনের মধ্যে জোর দার হয়েছে। নায়িকা মানেই ন্যাকা। ন্যাকা ন্যাকা কথা বলবে। তাদের পাবলিক ডিলিংসও অভিনয়ের মত মেকী ও লোক দেখানো। সবসময় নায়িকা নায়িকা ভাব। পাবলিকের প্রতি তাচ্ছিল্য। ভাবখানা যেন সৌদী কুয়েতী মিসকিন ভক্তদের মত সবাই ওদের বিয়ে করার জন্য পাগল।
প্রিয়াঙ্কা চেপড়াকে দেখে ঠিক সেই ধারনা একদম চুরমার হয়ে গেল। শিক্ষা দীক্ষা এটিকেট সভ্যতা একজন মানুষ কত উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে; তার প্রমান পেলাম প্রিয়াঙ্কাকে দেখে। একদম সহজ সরল। তাকে দেখে হলিউড বলিউডের নায়িকা মনেই হয় নি। মনে হয়েছে সাধারন খুব ভাল কোন মানুষকে দেখলাম।
তার মধ্যে কোন মেকীত্ব নেই। ন্যাকামি নেই। সহজভাবে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশেছেন। কথা বলেছেন। আহা উহু করে লোক দেখানো ঢং করেন নি। বরং রোহিঙ্গা শিশুদের মনোবল বাড়ানোর জন্য সুন্দর ভঙ্গিতে কথা বলেছেন। সাহস দিয়েছেন।
যতদুর জানি তিনি মুসলমান নন। সম্ভবত পাঞ্জাবি। কিন্তু খুব সহজভাবেই মুসলমানদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হালকা হিজাব করেছেন। তাতে তাকে আরও উজ্জ্বল ও ব্যাক্তিত্বময়ী লাগছিল।
_______________________________
ডা. শিবলী সোহায়েল আবদুল্লাহ সুমন, কক্সবাজার । একটি ইন্টারন্যাশনাল সাহায্য সংস্থার কর্মী