





নিজের সংবাদ ঘটা করে প্রচার করতে পারেন না মেহের আফরোজ শাওন, আর তা নিয়ে কখনো






কখনো বিড়ম্বনা কিংবা বিভ্রান্তের শিকার হোন তিনি,আর তাই এবার ঘটা করে নিজে কি করছে ,






কি ভাবছে এসব নিয়ে ভক্ত অনুরাগীদের জানাবেন এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর সেই ভাবনা থেকেই






ফেসবুকে ষ্ট্যাটাসও দিয়েছেন, পাঠকদের জন্য সেই স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো ….






নিজেকে নিয়ে একধরণের উদাসীনতা আছে আমার মাঝে… এই উদাসীনতায় আমার কোনো সমস্যা হয়না… কিন্তু সাংবাদিক ঘরানার কেউ যখন প্রশ্ন করেন- “এখন কি কি কাজ করছেন?” “সামনে নতুন কোন গান পাব?” “নাচ কি একবারে ছেড়েই দিলেন?” “অভিনয়ে ফিরছেন না কেন?” “পরবর্তী সিনেমার খবর কবে পাচ্ছি?” “ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?” আমি খুব দিশেহারা বোধ করি… তাদের পছন্দ মতো উত্তর দিতে পারিনা… বোকার মতো বলে ফেলি- “এখন কোনো কাজ করছি না।” “সামনে নতুন গান গাইবো কিনা এখন কি করে বলবো!” “নাচটা ধরতেই পারলাম না ঠিকমতো- ছাড়বো কিভাবে!” “অভিনয়ে ফিরছি না কেন জানিনা।”
“পরবর্তী সিনেমা হিসেবে মাথায় ৩/৪ টা ঘুরপাক খাচ্ছে, এবং পাক খেতে খেতে প্যাঁচ লেগে গেছে।” “ভবিষ্যত পরিকল্পনা এখনো করতে পারি নাই- বর্তমান পরিকল্পনা নিয়েই ব্যস্ত আছি।” আমি হিসেব নিকেশ পরিকল্পনা করে কোনো কাজই করতে পারি না… কাজ শুরু হবার এক সপ্তাহ আগে আমি নিজেই জানিনা কি করতে যাচ্ছি- আদৌ কিছু করতে পারছি কিনা..! ছোটবেলায় নাচ গান অভিনয়- যা শিখেছি, যা করেছি, মা’র আগ্রহেই সব… কৈশোরে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করেছি হুমায়ূন এর চোখে… তখন গান, অভিনয় সব তাঁর জন্যই করতাম… আমাকে নিয়ে আমার নিজের কোনো উদ্যম নেই… উৎসাহ দিয়ে কানের কাছে কেউ বকর বকর করলে মনে হয় ’আচ্ছা বুঝলাম… আমার নতুন একটা কাজ করা উচিত…’ এখানেও অভিযোগ, অসন্তোষ… ’কাজ করলেন কিন্তু খবরটাই সংবাদপত্রে দিলেন না..! আপনি এমন কেন..?’ আসলেই জানিনা- আমি এমন কেন… অতএব আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি যে এখন থেকে দায়িত্ব পালন করিয়া সংবাদ পরিবেশন করিব… আপাতত সংবাদ—
প্রিয় গীতিকবি জুলফিকার রাসেল ভাই অনেকবার চাইবার পর তার লেখা একটা গান পাঠালেন আমার গাইবার জন্য… এর আগে দুই একবার ইনবক্সে গান বিষয়ক মেসেজ চালাচালি হলেও শেষ পর্যন্ত কর্ম সম্পাদন হয়ে উঠে নাই… এইবার মেইলে পাওয়া মাত্র গানটা শুনে ফেললাম। কি আশ্চর্য..! মনে হলো আমার মনের কথাগুলোই গান হয়ে আমার কানে বাজছে… “বৃষ্টি আমার ভীষন প্রিয়- কেন ছোঁয়া মানা..?” এক মুহূর্ত দেরী না করে গান রেকর্ডিংয়ের তারিখ ঠিক করে ফেললাম… তখনো সুরকারের নাম জিজ্ঞেস করিনি… বিস্ময়ের সাথে জানতে পারলাম সুরকারের নাম ’নচিকেতা চক্রবর্তী’… তখন তাঁর সাথে আমার এক মঞ্চে গান করবার কথা নিশ্চিত হয়েছে মাত্র… অবশেষে টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলি’র চমৎকার সংগীতায়োজনে গানটা গেয়ে ফেললাম… আশা করছি একখানা ভিডিওচিত্র সহ খুব শিগগিরি গানটা আপনাদের সামনে হাজির করব… জুলফিকার রাসেল… ভাই এমন সুন্দর একটা গান চমৎকার সুর এবং সংগীতায়োজনসহ আমার হাতে তুলে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা… জলদি জলদি আরও দুই তিনটা গান আমার জন্য লিখে দেন… বি. দ্র. ’গান কবে শুনতে/দেখতে পাব’ এই প্রশ্ন আপাতত করিবেন না…