Home / মিডিয়া নিউজ / ছবির লাভের টাকা কোথায় যায়?

ছবির লাভের টাকা কোথায় যায়?

জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজিনা। দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও রুপালি জগতেই তার বসবাস।

যদিও লন্ডন প্রবাসী হয়েছেন। তারপরও বেশির ভাগ সময় চলচ্চিত্রের টানে দেশে কাটান। তার কর্মব্যস্ততা জানতে মুখোমুখি হয়েছেন—আলাউদ্দীন মাজিদ

কেমন আছেন?

সৃষ্টিকর্তা অনেক ভালো রেখেছেন। আর সবার দোয়ায় বেশ আছি।

দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ?

মানসম্মত কাজ না হলে তাতে অংশ নিতে চাই না বলেই অভিনয় থেকে দূরে আছি।

মানসম্মত কাজের অভাব কেন?

দেখুন, সবকিছু যতই ডিজিটাল হোক না কেন, আমরা কিন্তু বাঙালি, আর বাঙালি হিসেবে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে যদি নির্মাণে না আসি তাহলে মানের অভাব তো হবেই। আমাদের দেশে নিজস্ব গল্পের অভাব নেই। তারপরও যদি ভিনদেশী কালচারকে নকল করি তাহলে দর্শক কেন সিনেমা হলে যাবে? ভালো ছবি হলে দর্শক অবশ্যই তা দেখতে যায়। এর প্রমাণ ‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’সহ আরও অনেক ছবি। তাই বলব পুরনো আর নতুন নির্মাতারা যেন নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে নির্মাণে এগিয়ে আসেন আর চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষা করেন।

আপনি ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন-

হ্যাঁ, দিয়েছিলাম। কিন্তু ছবি দর্শক গ্রহণ যোগ্যতা পেলেও নির্মাতা টাকা ফেরত পান না। ‘আয়নাবাজি’ সুপারহিট ছবি। অথচ এই ছবির নির্মাতা লাভ দূরে থাক পুঁজিই ফেরত পাননি। এই টাকা কোথায় যায়? কারা ভোগ করে তা আগে খুঁজে বের করতে হবে। না হলে লোকসান গুনে কেউ নির্মাণে আসবেন না। আমিও না।

চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?

আমি আশাবাদী। কারণ বর্তমান সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রবান্ধব। তিনি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা চলচ্চিত্রের লোকজন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আত্মনিয়োগ করি তাহলে চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরতে বাধ্য।

অভিনয়ে এখন যারা আসছেন তাদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?

শাবনূর, মৌসুমী, রিয়াজ, শাকিবের পর যারা আসছে তাদের নিয়ে আমি চরম হতাশ। তারা শুধু অর্থের পেছনে ছুটে, কাজ শিখতে চায় না, দেখাতেও পারে না। তাদের বলব আগে কাজের মাধ্যমে সফলতা দেখাতে হবে। তাহলে টাকা-পয়সাই তোমাদের পেছনে ছুটবে।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। এর উদযাপন কমিটিতে আছি, তা নিয়ে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটেরও সদস্য আমি। সেখানেও নানা ব্যস্ততা আছে। তা ছাড়া চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কল্যাণেও কাজ করে যাচ্ছি।

চলচ্চিত্র জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে বলুন

এই জগতে এসে যা পেয়েছি সবই প্রাপ্তি, দর্শকের ভালোবাসায় অভিনেত্রী রোজিনা হয়েছি, রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছি। মানে এক জীবনে অনেক পেয়েছি। আর কিছুই চাই না, শুধু চলচ্চিত্রের উন্নয়ন দেখে যেতে চাই। যেদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেব সেদিন প্রাপ্তিও শেষ হয়ে যাবে…হা…হা..হা…[হাসি]। বাংলাদেশ প্রতিদিন

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *