





বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। প্রায় দেড় যুগ ধরে গান করছেন। ক্যারিয়ারের






শুরুতেই তিনি নিজেকে একজন ভালো শিল্পী হিসেবে প্রমাণ করেছিলেন। এরপর করে গেছেন কঠিন






সাধনা। সে কারণেই পিছনে ফিরে আর তাকাতে হয়নি তাকে। ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান তিনি শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন।






বিশেষ করে চলতি সময়ে সিনেমার গানের অন্যতম নির্ভরযোগ্য নারী কণ্ঠশিল্পীতে পরিণত হয়েছেন কনা। তার কণ্ঠে সিনেমার অনেক গানই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। সিনেমার বাইরে অ্যালবাম ও সিঙ্গেল গানও করে যাচ্ছেন নিয়মিত। এর বাইরে বিজ্ঞাপনেও কন্ঠ দিয়ে থাকেন তিনি। পাশাপাশি জিঙ্গেল গাওয়াতো রয়েছেই। তবে সব থেকে কনা বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন স্টেজে।
কনা বলেন, গানের মধ্য দিয়ে সময়টা চলে যাচ্ছে। এর বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগটা কম পাই। তবে আমি গানের এই ব্যস্তাতাটা উপভোগও করি। স্টেজ শো, নতুন গান রেকর্ডিং, জিঙ্গেল, বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেয়া-এ সব নিয়েই ব্যস্ততা চলছে। তবে স্টেজ শো নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে বেশি। কারণ শীত মৌসুমের পরও অনেক শো এর আয়োজন হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমের আগ পর্যন্ত টানা ব্যস্ততা থাকবে স্টেজে।
আমি স্টেজে খুব স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করি। কারণ এখানে শ্রোতাদের সরাসরি গান শোনানো যায়। আবার সরাসরি তাদের সাড়াও পাওয়া যায়। এটা একজন শিল্পীর জন্য দারুণ সুখের। তাই আমি খুব উপভোগ করি স্টেজ শো।
তিনি বলেন, পূর্ণ অ্যালবামতো আর এখন হয় না। এতগুলো গানের প্রচারণাও সম্ভব হয় না। তাই একটি ইপি অ্যালবাম করতে পারি সামনে। এই সময়ের সুরকাররা এর কাজ করবেন। আশা করছি ভালো কিছু হবে। এর বাইরে আমি নিজের উদ্যোগেও কিছু গান তৈরি করে রেখেছি। এগুলো চলতি বছরের নির্দিষ্ট সময় পর পর ভিডিও আকারে প্রকাশ করবো।
কনা বলেন, অনেক ভালো। সম্প্রতি আমার গাওয়া ‘দিল দিল দিল’ গানটি তিন কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে ইউটিউবে। দুই বাংলার মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ ভিউয়ের গান। বিষয়টি বেশ আনন্দের। এছাড়াও ‘ও ডিজে’ গানটিও এক কোটির ঘর অতিক্রম করেছে আগেই। তবে ভিউটা বড় বিষয় নয়, শ্রোতাদের ভালো লাগাই সব থেকে বড় বিষয়।
অন্য একটি প্রসঙ্গ টানতে কনা হেসে বিয়ে নিয়ে বলেন, এটা বেশ ভালো একটি ব্যাপার। বিয়েটা আসলে সৃষ্টিকর্তা যখন চাইবেন তখনই হবে। তবে কাজটা হয়তো এ বছরই সেরে ফেলতে পারি। দেখা যাক কি হয়।