





মডেলিং এর মাধ্যমেই মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেছিলেন সাদিয়া জাহান প্রভা। একটা সময় নাটকে






অভিনয় শুরু করেন। দুর্দান্ত অভিনয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই পেয়ে যান জনপ্রিয়তা। ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে






ঠিক তখনই ভয়াবহতার মুখোমুখি হন এ অভিনেত্রী। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে তার যৌনমিলনের ভিডিও।






এরপর তীব্র বিতর্কের মুখে অনেকেই ভেবেছিলেন আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই এই অভিনেত্রীর। কিন্তু বছর দুয়েক আড়ালে থাকার পর আবারো পর্দায় নিয়মিত হতে শুরু করেন প্রভা।
দীর্ঘবিরতির পর ফিরে এসে একের পর নাটকে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। তবে এখনো নিজের অতীতের ভুলের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় প্রভাকে। নানান গুজবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন এ অভিনেত্রী। তাই এসব থেকে মুক্তি দিতে কয়েকদিন আগেই নিজের ফেসবুক পেজে সবার কাছে অনুরোধ জানান প্রভা।
মিডিয়া জগতের অসংখ্য অভিনেত্রী আছেন যারা গোপনে তীক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার পরও আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে তীক্ত অভিজ্ঞতার পর কীভাবে এ সময় কাটিয়ে উঠলেন তিনি। এমন প্রশ্নের মাঝেই দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে মুখ খুললেন প্রভা।
বিষয়টি নিয়ে প্রভা বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ২০১০ সাল। মোটামুটি টানা চার-পাঁচ মাস বাসা থেকেই বের হইনি। বলতে গেলে রুমবন্ধী ছিলাম। আমার ভাই, বাবা-মা—এই ছিল আমার দুনিয়া।
এই অভিনেত্রী আরো বলেন, আমার ভাই, বাবা-মা আমাকে সময় দিয়েছেন। ফোনে কিছু বন্ধু আমাকে সাপোর্ট করেছে। এর মধ্যে আত্মী মানসিকভাবে সাপোর্ট করেছে। প্রচুর সময় দিয়েছে। আমার মনে আছে, শুধু আমার জন্য আত্মী সেমিস্টার ড্রপ দিয়েছে। আরেকটা ব্যাপার আমাকে সবচেয়ে বেশি শক্তি জোগায়, আত্মশক্তি। নিজের প্রতি নিজের শক্তি। তবে মাঝেমধ্যে হতাশ হতাম। আমিও তো রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ।
কেউ একজন ভুল বুঝলে, চেষ্টা করতাম ব্যাখ্যা করতে—এটা আমি না, আমি ওটা না। বলতে পারেন, বৃথা চেষ্টা মাঝে মাঝে করে ফেলি। আমি মনে করি, যারা ভালোবাসার, তারা একটুতে বাসে। জোর গলায় বলতে চাই, আমি বড় কোনো অপরাধ করিনি। আমার বিবেককে নাড়া দেবে, এমন কোনো অপরাধ করিনি। এরপরও সব সময় দেখি, আমি বুঝি জগতে সবচেয়ে দুর্ভাগা।
জীবনে অনেক দেখেছি, বিনা অপরাধে দোষী হয়েছি। সেটা আমার বোকামি হতে পারে। আমি কৌশলী নই। খুব অভিমানী। খুব স্পষ্টভাষী। আমাকে বোঝা খুব সহজ। এসব কারণে বারবার আমাকে ঠকতে হয়েছে।