





বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের ৬৯তম জন্মদিন আগামীকাল। ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর






এই বরেণ্য মানুষটির জন্ম। জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী।






স্বামীর জন্মদিনটি কিভাবে পালন করবেন জানতে চাইলে শাওন বলেন, আজ দিবাগত রাত বারোটায় আমার বাসায় কেক কাটা হবে।






সেখানে পরিবারের সবাই উপস্থিত থাকবেন। আগামীকাল সকাল নয়টায় আমি নুহাশ পল্লিতে উপস্থিত থাকবো। সেখানে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করেছি। এছাড়া পাবলিক লাইব্রেরিতে বই মেলা হবে। সেখানেও অংশগ্রহণ করবো। এদিকে চ্যানেল আই আয়েজিত মেলাসহ আরো বেশ কিছু অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকবো।
শাওন আরো বলেন, জন্মদিনে তিনি উপস্থিত থাকলে হয়তো আনন্দটা অনেক বেশি গাঢ় হতো। কিন্তু সেটি তো আর কখনো সম্ভব নয়। তাই তাকে ছাড়াই আমাদের দিনটি পালন করতে হচ্ছে। দেশ-বিদেশে হুমায়ূন আহমেদের অগনিত ভক্ত রয়েছে। তাই তাকে ঘিরে বিশেষ দিবসগুলোতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তাদের নানা রকম পোষ্ট দেখা যায়। অনেকেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে হুমায়ূন আহমেদের ছবিও দেন। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। শুরু থেকেই তাকে নিয়ে ভক্তদের উন্মদনা ব্যাপক। তিনিও গল্প-উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্র দিয়ে ভক্তদের খুব গভীরে প্রবেশ করেছেন।
হুমায়ূন ভক্তদের প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ভক্তদের উচ্ছ্বাস সব সময় চোখে পড়ার মতো। তাদের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে থাকবেন। ভক্তরাও তাকে আজীবন ভালোবাসবেন বলে আমি মনে করি। সাহিত্য, নাটক-চলচ্চিত্র সব মাধ্যমে তিনি অবদান রেখেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি একজন সফল মানুষ। সফল মানুষদের ক্ষয় নেই।
২০১২ সালের ১৯শে জুলাই ক্যানসারের কাছে নত হতে হলো হুমায়ূন আহমেদকে। চিরতরে হারিয়ে গেলেন এই কিংবদন্তি। হুমায়ূন আহমেদকেক শাওন কতটা মিস করেন? এই সর্ম্পকে তিনি বলেন, সবাই বছরের নিদিষ্ট দিনগুলোতে তাকে স্মরণ করেন। আমি প্রতিটি দিনই হুমায়ূন আহমেদের শূন্যতা অনুভব করি। তাকে ছাড়া আমার পৃথিবী অসম্পূর্ণ। তার সঙ্গের প্রতিটি দিন আমার স্মৃতিময়। সেই দিনগুলোর কোনোটি ভুলে থাকার মতো নয়। তার সন্তানরা তাকে ছাড়া বড় হচ্ছে। প্রতিটি দিন তারাও তাদের বাবাকে মিস করছে। সত্যি বলতে পরিবারের মানুষদের শূন্যতা কোনো ভাষা দিয়ে বোঝানো যায়না।