Home / অন্যান্য / লাভের আশায় গাজর চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!

লাভের আশায় গাজর চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!

আবহাওয়া মাটি গাজর চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এছাড়া গাজর চাষে তুলনামূলক খরচ কম ও এতে

রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। বাজারে ভালো দরে বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হতে পারেন। তাই দিন দিন এই জেলার চাষিরা এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন।

জানা যায়, লালমনিরহাটের মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের হাজারও কৃষক গাজর চাষ করছেন। এর চাষে খরচ কম এবং বেশি লাভ হওয়ায় অনেকে এর চাষ করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। ধীরে ধীরে এই জেলায় গাজরের চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়ন এলাকায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে গাজরের চাষ করা হয়েছে।

উত্তর সাপটানা এলাকার গাজর চাষি মৃণাল চন্দ্র রায় বলেন, আমি এক একর জমিতে গাজরের চাষ করেছি। চাষে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি সব খরচ বাদে লাখ টাকা আয় করতে পারবো।

কৃষক বুলু মিয়া বলেন, আমি অন্যান্য বছরের মত এই বছরও গাজরের চাষ করেছি। এর চাষে খরচ কম। শুধু মাত্র জৈব সারের ব্যাবহারে বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। এই ফসল চাষে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করতে পারবো।

আরও কৃষকরা জানায়, গাজর চাষে জমি থেকে ৩বার ফসল সংগ্রহ করা যায়। এর ডালপালা পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর লালমনিরহাটের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, লালমনিরহাটের মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে প্রচুর পরিমানে গাজর চাষ হয়। তার মধ্যে মোগলহাট ইউনিয়নের মধ্যে কাকেয়া টেপা, ভাটিবাড়ী, কোদালখাতা, ফুলগাছে গাজরের আবাদ বেশি হচ্ছে।

উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং বাজার দর ভালো থাকে বলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

Check Also

গ্রামে খর ও বাঁশ দিয়ে হেলিকপ্টার বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলো দুই যুবক, গ্রামের বাচ্চাদের মুখে হাসি, যুবকদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা ভাইরাল ভিডিও

আবিষ্কার বলতে ব্যক্তি বা দলীয়ভাবে কোন নতুন ধরনের জিনিস, যন্ত্র বা বিষয় তৈরী, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *