Home / অন্যান্য / দেখলেই মেরে ফেলতে হবে সঙ্গে সঙ্গে, কেন সাপের মত এই মাছ মেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন বিজ্ঞানিরা!

দেখলেই মেরে ফেলতে হবে সঙ্গে সঙ্গে, কেন সাপের মত এই মাছ মেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন বিজ্ঞানিরা!

যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মাছের হদিশ পেয়েছে, যারা জল ছাড়াও দিব্যি বেঁচে

থাকতে পারে। এদিকে এই মাছের আকৃতি আবার সাপের মতই। প্রায় ১৮ পাউন্ড ওজনের ধারালো

দাত বিশিষ্ট এই মাছের নাম দেওয়া হয়েছে স্নেক হেড ফিশ (Snake Head Fish)। আর এই মাছ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রতুই মেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন বিজ্ঞানিরা।

জানিয়ে রাখি ধারলো দাত হওয়ার সুবাদে অনায়াসেই জল মধ্যস্থ অন্যান্য মাছগুলোকে খেয়ে নিতে পারে এই মাছ। যার ফলে এই মাছ যে স্থানে থাকছে, সেখানকার অন্যান্য মাছগুলোকে খেয়েও ফেলছে এই মাছ। সেই কারণেই আরও এই মাছ মেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে।

জানা যায়, ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নাডিনোর সিলভার হুড লেকে ১৯৯৭ সালে একবার এই মাছের হদিশা পাওয়া গিয়েছিল। সেইসময় এই মাছ নিয়ে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এরপর আবার জর্জিয়ার লেকে এই মাছ দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানমহল ধারণা করেছে এই মাছ পূর্ব এশিয়ার। এরপর ২০০২ সাল থেকে এই মাছ ধরা এবং বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর সাপাকৃতি হওয়ায় এই মাছের নাম দেওয়া হয়েছে স্নেক হেড ফিশ (Snake Head Fish)।

এই স্নেক হেড ফিশের (Snake Head Fish) বিষয়ে আরও একটি অবাককর বিষয় জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের গবেষণা বলছে, এই মাছের শরীরে শ্বাসতন্ত্র এমন ভাবে তৈরি, যাতে করে এই মাছ অনায়াসেই বাতাস থেকে শ্বাস নিতে পারে, ঠিক যেভাবে মানুষ শ্বাস- প্রশ্বাস নেয়। সেই কারণে এই মাছটি জল এবং স্থল উভয় জায়গাতেই সমানভাবে চলাফেরা করতে পারে।

এরই মধ্যে আবার কিছুদিন আগে বারানসির গঙ্গা নদীতে অ্যামাজন নদীর মাছ ধরা পড়ে। যা নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল বেড়েছিল। এই মাছটিকে দেখার জন্য ভিড়ও জমেছিল অনেক। এমনও হয় অনেক সময় সমুদ্র থেকে কিছু মাছ গঙ্গা নদীতে অনায়াসেই প্রবেশ করে যায়। আর সেই মাছ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল বাড়তে থাকে।

Check Also

গ্রামে খর ও বাঁশ দিয়ে হেলিকপ্টার বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলো দুই যুবক, গ্রামের বাচ্চাদের মুখে হাসি, যুবকদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা ভাইরাল ভিডিও

আবিষ্কার বলতে ব্যক্তি বা দলীয়ভাবে কোন নতুন ধরনের জিনিস, যন্ত্র বা বিষয় তৈরী, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *