Home / মিডিয়া নিউজ / কথা দিয়েছিলাম, মনির বিয়েতে পিংক বেলুন নিয়ে আসবো: আসিফ

কথা দিয়েছিলাম, মনির বিয়েতে পিংক বেলুন নিয়ে আসবো: আসিফ

দেশের অডিও গানে দীর্ঘ সময় ধরে রাজত্ব করেছেন তিনি। একের পর এক সুপারহিট অ্যালবাম

উপহার দিয়েছেন। খুব কম সংগীতশিল্পী আছেন, যাদের কণ্ঠ শুনেই যেকোনো মানুষ চিনে ফেলে।

তিনি তাদের অন্যতম। ভক্তরা তাকে ভালোবেসে ডাকেন বাংলা গানের যুবরাজ। হ্যাঁ, তিনি আসিফ আকবর।

আসিফের সংগীতজগতের আনুষ্ঠানিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০১ সালের ২৯ জানুয়ারি। ওই দিন দেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ বাজারে এসেছিল সাউন্ডটেকের ব্যানারে। সে সময় অ্যালবামটির ৬০ লাখ কপি বিক্রি হয় এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী অডিও অ্যালবাম হয়ে ওঠে। অ্যালবামটিতে মোট ১২টি গান আছে। প্রতিটির কথা ও সুর করেছেন ইথুন বাবু।

সেই অ্যালবামের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি আসিফকে। অডিও, সিনেমা ও কনসার্ট—সবখানেই তার ভরাট কণ্ঠ মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। উপহার দিয়েছেন অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান।

আজ সোমবার (০৬ মার্চ) সকালে জনপ্রিয় এই শিল্পী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে জানিয়েছেন ক্যারিয়ারের উত্তাল সময়ের ফ্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বিপদের কথা। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘ক্যারিয়ারের উত্তাল সময়ে ফ্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বেশ বিপদেই ছিলাম। মোবাইলের অস্থির যুগ ছিলনা, ক্যাসেটের গায়ে লেখা কুমিল্লা বাসার ঠিকানায় চিঠি আসতো। সেই চিঠি ঢাকায় নিয়ে এসে উত্তর লিখে রিটার্ন চিঠি পাঠাতাম।

তারকা ফারকা খ্যাতি কিংবা ক্ষতি নিয়ে ভাবিত ছিলাম না কখনোই। প্রেমাক্রান্ত কিশোরী কিংবা বিরহকাতর প্রেমিকের উন্মাতাল ভালবাসা আমাকে ছুঁয়ে যেতো। কোন গলি থেকে উঠে গানের জগতে এসেছি সেটা ভাল করেই জানি। এতো এতো চিঠি পেয়ে আপ্লুত হতাম। কত শত ভালবাসা আবেগ থাকতো প্রত্যেকটা খামের ভিতরের সেই কাগজটায়, ভাবতেই বিচিত্র অনুভূতি জন্ম নেয়।

আমিওতো সাধারন একজন মানুষ। ভাগ্য আমাকে টেনে নিয়ে গেছে মানুষের বুকের গহীনে লালিত সরল ভালবাসার খুব কাছে। কাজের চাপে দেখা করা কিংবা কথা বলার সুযোগ ছিলোনা ততোটা। বহু ছেলে মেয়ের বিয়েতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সব না পারলেও বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি রেখেছি। রাজশাহীর মেয়ে লুবা’র তো বিয়ের দুদিন চলে গেছি ভুলে, গিয়ে বোকাও বনেছি, শান্তিও লেগেছে। আবেগের কাছে ভুল সাধারন একটা শব্দ মাত্র।

ভিখারুন নিসা নুন স্কুলের পাশেই দীর্ঘদিনের আবাস আমার। আসমা সুলতানা মনি সেই স্কুলের সেভেন এইটের ছাত্রী হবে, কাছেই কোথাও ছিল তার বাসা। সে আমাকে দেখতো জানতো, আমি তাকে চিনিনা। চটাং চটাং কথা বলে, চিনচিনে আবেগ তার স্বভাবের ধারেকাছেও নেই। ফোনে কথা হতো হালকা পাতলা, তারপর দেখাও হলো।

আসমা’র দাবী ছিল তার বিয়েতে আমার উপস্থিত থাকতেই হবে। ভাবলাম হ্যাঁ বলে দিয়ে আপাতত মুসিবত থেকে রক্ষা পাই। খুব ছোট ছিল সে, কবে বিয়ে হবে কে জানে! কথা দিয়েছিলাম – মনি তোমার বিয়েতে পিংক বেলুন নিয়ে আসবো। মেয়েটা শেষ পর্যন্ত বড় হয়ে গেল, বিয়ের পিড়িতেও বসলো। জামাই মামুনুর রশীদ আর মনি- দুজনেই ব্যাংকার। এ বছরের ১৩ই জানুয়ারী ঠিকই তাদের বিয়েতে হাজির হয়ে গেছি। শুধু ভুলে গেছি পিংক বেলুন নেয়ার শপথ, মনি ঠিকই মনে করিয়ে দিয়েছে। কি অদ্ভূত সাধারন মায়াময় গল্প।

ফটোগ্রাফার স্যার প্রায় দুইমাস প্রচন্ড পরিশ্রম করে আজকে ছবি দিয়েছে, ফটোক্রেডিটও দিবো দুইমাস পরে। সুখী হও আসমা সুলতানা মনি, তোমাদের মাঝেই শ্বাশতকাল বেঁচে থাকবো আমি… আমি সেটা জানি… ভালবাসা অবিরাম…’

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *