Home / মিডিয়া নিউজ / প্রেমের বিয়ে করে জীবনে একবার ভুল করেছিলাম

প্রেমের বিয়ে করে জীবনে একবার ভুল করেছিলাম

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সপ্তাহখানেক আগে বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনয়শিল্পী সারিকা।

গত মঙ্গলবার তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবরটি জানান তিনি। পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বর দৃক ব্যান্ডের

গিটারিস্ট, গীতিকবি ও সংগীত পরিচালক। বিয়ের খবর প্রকাশের পরপরই তিনি তাঁর জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পরিচয়, পরিণয় ও নতুন জীবনের শুরু নিয়ে কথা বললেন। কয়েক মাস আগেও আলাপে বলেছিলেন, বিয়ে নিয়ে ভাবছেন না। কখন, কীভাবে আপনাদের যোগাযোগ হলো?

আমাদের যোগাযোগ কোনো হওয়ার সুযোগই ছিল না। এটা পুরোপুরিই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। দুই পরিবার মিলে বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। পারিবারিকভাবে যেভাবে সিভি দেখে, মা–বাবা যেভাবে পাত্রপাত্রী পছন্দ করেন—আমার এই বিয়ের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে।

পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর আপনাদের প্রথম দেখা কবে?

খুব বেশি দিন না। দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আমাদের কথা বলা একটু একটু শুরু হয়। এরপর প্রথম দেখা। পুরো ব্যাপারটা ঘটেছে গত বছরের ডিসেম্বরে। একদম অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বলতে যা বোঝায়, এটা তাই–ই।

শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তাহলে!

বিয়ের ব্যাপারটা পরিবারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছিলাম। প্রেমের বিয়ে করে জীবনে একবার ভুল করে এবার বলেছি, আমি কোনো ছেলেটেলে দেখব না। কাউকে পছন্দ করব না। প্রেমও করতে পারব না। তোমরা যদি চাও, বিয়ে করব। তবে আমি যখন মনে মনে পুরোপুরি রেডি হব, মনে করব, তখনই বিয়ে করব। এ জন্যই পাঁচ বছর সময় নিলাম। আমার প্রথম বিয়ের ডিভোর্সটা হয়েছে পাঁচ বছর আগে। মূলত আমি মানসিকভাবে তৈরি হওয়ার পর, পরিবারকে বলেছি, তোমরাই ছেলে দেখো, তোমরাই পছন্দ করো। আমি ওটাতেই রাজি।
পরিবারের পছন্দের পর বরকে আপনার কেমন লেগেছিল?

কথাবার্তা বলার পর আমারও মনে হলো, ছেলেটা ভালো। পরিবারও ভালো। তারপর এই তো…বিয়ে হয়ে গেল। আমার মেয়ে আনায়াকেও অনেক আদর করে। এই তো।

কোন দিকটা ভালো লেগেছে?

এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার এখনো সময় হয়নি। দিস ইজ টু আর্লি টু স্টার্ট। এত আগে থেকে এত ভালো কথা বলা শুরু করব, পরে যদি আবার…ধুররর। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ, এখনো এত কিছু ভালোমন্দ বুঝি না। এমনিতে হি ইজ নাইস, হি ইজ কাইন্ড—কথা বলে তেমনটাই মনে হয়েছে। আমি তো আসলে প্রেমের সময়ও পাইনি।
প্রেমের সময় পেলে কি বুঝতে পারতেন?

প্রেম করার সময় থাকলে মানুষ বুঝতে পারত কোন দিকটা ভালো, কোনটা মন্দ। একটা মানুষের আসলে অনেক কিছু দরকার হয় না। সত্যি কথা বলতে, অল্প কয়েকটা ইম্পরট্যান্ট জিনিস হলেই মানুষ একটা সুন্দর জীবন পার করে দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এসব প্রেমের বিয়েতেও মিসিং থাকে। আমি মনে করি, প্রথমত দুজনের সংসার করার ইচ্ছাটা থাকতে হবে। দুই পক্ষেরই বিয়ের মূল্যটা বুঝতে হবে। দুজন মানুষের মধ্যে বেসিক একটা শ্রদ্ধার জায়গা থাকতে হবে। শ্রদ্ধা থাকলে তখন ঝগড়াবিবাদও কম থাকবে। পারিবারিক বিশ্বাসে যদি কমন কিছু গ্রাউন্ডসও থাকে, তাহলে আমার মনে হয় এনাফ। দুজনের সব যে একই রকম লাইকিং বা ডিজলাইকিং থাকবে, নট নেসেসারি। পৃথিবীর কোনো সম্পর্কেই এটা হয় না। প্রতিটি সম্পর্কে আপস অ্যান্ড ডাউন থাকবে—এরপর সুন্দরভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়। কিছু মিল আর কিছু অমিল—এই নিয়েই সংসার।
আপনার কাছে সংসার মানে কী?

আমি মনে করি, পৃথিবীতে কোনো মানুষই একা থাকতে পারে না। প্রত্যেক মানুষেরই একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয়—কখনো কথা বলার জন্য, কখনোবা ঝগড়া করার জন্য হলেও। একাকিত্ব নিয়ে জীবন কাটানো আসলে সহজ না, সম্ভবও না। স্রষ্টা আসলে মানুষকে ওভাবেই সৃষ্টি করেছেন। সংসার বলতে প্রতিদিন রান্না করতে হবে এমনটা না। যে মানুষটা আমার পার্টনার, যার সঙ্গে আমাকে পরবর্তী জীবন থাকতে হবে এবং যে আমার সঙ্গে থাকবে, আমার জীবনের সেরা সময়েও পাশে থাকবে, খারাপ সময়েও থাকবে। একইভাবে আমাকেও তার খারাপ দিকটা এবং ভালো দিকটা গ্রহণ করতে হবে।

আপনার বর তো গান করেন। তাঁর গান শোনা হয়?

হি ইজ আ ভেরি গুড লিরিসিস্ট, ফাইন লিরিসিস্ট। স্ত্রী হিসেবে নয়, একজন আর্টিস্ট হিসেবে বলতে চাই, সে হয়তো অনেক বড় একজন সিঙ্গার নয়, কিন্তু তার গীতিকবিতা খুব সুন্দর। আমাকে নিয়েও একটি গান লিখেছে। শিগগিরই গানটি প্রকাশ করবেও বলেছে। গানটি লেখার পর যখন শোনাল, নিজেকে স্পেশাল মনে হয়েছে।
আপনি কখনো গাইবেন না?

(হাসি) সে (বর আহমেদ রাহি) চায় আমি গান গাই। কিন্তু আমাকে দিয়ে গান হবে না। আমি গান গাইলে সবাই পালিয়ে যাবে।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *