





জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী সিমলার অনেকদিন ধরেই কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না!






মাঝে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। অনেকে নতুন কাজ নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ






করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। তবে কোথায় আছেন সিমলা? এ প্রশ্ন এখন অনেকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে।






এদিকে চিত্রনায়িকা সিমলার বিয়ের গুঞ্জন প্রায়শই ডালপালা মেলে ধরে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। এছাড়াও কত মুখরোচক গল্পই না তাকে ঘিরে রয়েছে। এ নিয়ে মাঝে মাঝে বিব্রতও বোধ করেন তিনি। তবে এবার আর গুঞ্জন নয় সত্যিই বিয়ে করেছেন সেলুলয়েডের এ নায়িকা।
দীর্ঘ ব্যাচেলর জীবনের ইতি টেনেছেন বাংলা সিনেমার এক সময়কার জনপ্রিয় এ নায়িকা। গত বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে কোন এক দিন তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর মাহি বি জাহান। পেশায় ব্যবসায়ী। থাকেন যুক্তরাজ্যের রাজধানী এবং পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম শহর লন্ডনে। পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন সেখানে। আর তাদের বিয়েতে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ও বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ভালোলাগা থেকে ভালবাসা, এরপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। আরও জানা গেছে, বর মাহির বাড়ি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জে। তাদের বয়সের পার্থক্য হিসাবে করলে সিমলার তুলনায় মাহির বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি।
এ বিষয়ে সিমলার সঙ্গে আজ (১ জানুয়ারী) সকাল থেকে বহুবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও তার ব্যবহৃত অন্য আরেকটি নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটিও বন্ধ পান এ প্রতিবেদক। এরপর এ বিষয়ে সিমলার বর মাহির সঙ্গেও বহুবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায় আজ সকাল থেকে।
অন্যদিকে সময় বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্টে গিয়েছে সিমলার ক্যারিয়ারের চিত্রপটও। ক্যারিয়ারের জৌলুশ সময় আগের মতো আর নেই। তারপরও আত্মপ্রত্যয়ী তিনি। ভালো কাজ দিয়ে দর্শকদের কাছে থাকতে চান। সে লক্ষ্যেই স্বপ্ন বুনে চলেছেন এখনও। এদিকে বেশ কিছুদিন আগে প্রিয়.কমের এ প্রতিবেদক তার কাছে বিয়ের বিষয়ে তার ভাবনা জানতে চেয়েছিলেন।
তখন তিনি বলেন, ‘মানুষ হিসেবে একটা বোধ আছে তো। বিয়ের বিষয়টা সম্পূর্ণ স্রষ্টার হাতে। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি চাইলেও করতে পারিনি। তার মানে আমার দ্বারা আপতত সম্ভব নয়। সৃষ্টিকর্তা যেদিন চাইবে সেদিন হবে। তবে ব্যাচেলর জীবনটাকে উপভোগ করছি। যে এই অনুভূতিটা উপভোগ করে সেই জানে। আর বিয়ের সময় তো এখনও ফুরিয়ে যায়নি। আমার চুলগুলো তো এখনও কালো।’
সিমলা এরই মধ্যে শেষ করেছেন রশিদ পলাশের ‘নাইওর’ ছবির শুটিং। কাজ করছেন রুবেল সিদ্দিকীর ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবিতে। সেটির কাজও শেষ প্রায়। খুব শিগগিরই কাজ শুরু করার সম্ভাবনা আছে ‘ম্যাডাম ফুলি-২’ ছবির কাজও। ১৬ বছর পর ছবিটির সিক্যুয়েল নির্মাণ করতে যাচ্ছেন আশিকুর রহমান। এ নিয়ে ভীষণ আশাবাদী তিনি।
প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এমন স্বল্প অভিনেত্রীর মধ্যে সিমলা অন্যতম। শহীদুল ইসলাম খোকনের পরিচালনায় ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন ১৯৯৯ সালে। প্রথম ছবির এই সাফল্যে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সিমলার শৈশব কৈশোর কেটেছে ঝিনাইদহের শৈলকূপায়। শৈলকূপা গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি শৈলকূপা সরকারী কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়ই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন বলে পড়াশোনার ইতি ঘটে। সিমলার বাবা প্রয়াত আব্দুল মাজেদ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মা একজন গৃহিণী। ৬ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে সিমলা সবার ছোট।