‘অন্যদের জন্য যে এফোর্ট দেই বাবার ক্ষেত্রেও একই এফোর্ট দেই। তবে ব্যাক অব দ্য মাইন্ড বাবা বিষয়টিও কাজ যে করেনা তা কিন্তু নয়। বাবার লেখার ধরণ চিন্তার ধরণ যেহেতু জানি, ফলে প্রচ্ছদ করতে সুবিধা হয়।’ বইমেলায় বাবা আবুল হায়াতের চারটি বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন মেয়ে বিপাশা হায়াত। এ বিষয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে পাশ করা চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত। যদিও তিনি খ্যাতিমান তার অভিনয়গুণে।
বাবার লেখা যে বইগুলোর প্রচ্ছদ করেছেন সেগুলো হল ‘এসো নীপবনে’, ‘জীবন খাতার ফুটনোট’, ‘ঢাকামি’ এবং ‘মিতুর গল্প’। বিপাশা জানান, বাবার সব বইয়ের প্রচ্ছদই তার করা।
‘নিজের লেখা প্রকাশ পাচ্ছে বইমেলাতে?’ প্রশ্নে বিপাশা হায়াত বলেন, না। আমি তো লিখিনা।’ প্রশ্ন আর বাড়ানোর ইচ্ছা করেনা এত ভালো যিনি নাটকের গল্প লেখেন তিনি কেন উপন্যাস-গল্প-কবিতায় হাত বাড়াননা তা প্রশ্নের দাবী রাখলেও সব প্রশ্ন যেমন করতে হয়না তেমনি উত্তরও আশা করতে হয়না।
এ তো গেল শিল্পী মেয়ের প্রসঙ্গ। একই প্রসঙ্গে ধরা হয় বাবা শিল্পী আবুল হায়াতকে। ‘শিল্পী নাকি মেয়ে কোনটা প্রাধান্য পায়?’ সহাস্যে গর্বিত বাবা বলেন, ‘দুটোই’। ‘সম্মানী দেন তো শিল্পীর? নাকি মেয়ে বলে ফাঁকিবাজি?’ প্রশ্নে আবারও প্রাণখোলা হাসির আওয়াজ ফোনের ওপারে। ‘নিজের মেয়েকে আবার সম্মানী দেব কি? হ্যাঁ, একটা ধন্যবাদ সম্মানী দেই ভালো হয়েছে জানিয়ে।’
এ পর্যন্ত ২৭/২৮টি বই বের হয়েছে জানিয়ে আবুল হায়াত চ্যানেল আইকে বলেন, আমার ৯০-৯৫ ভাগ বইয়ের প্রচ্ছদ বিপাশার করা। ও যখন চারুকলায় ভর্তি হয় তারপর থেকে আমার বইয়ের প্রচ্ছদ আর কেউ করেনি। প্রথম বইয়ের মলাটে এঁকেছিল মাসুক হেলাল। ৮৭/৮৮ সালের দিকে। তখনও চারুকলায় ভর্তি হননি বিপাশা।
বইগুলো কি পত্রিকায় প্রকাশিত কলামগুলোর সংকলন?’ প্রশ্নে আবুল হায়াত জানান, প্রথম আলো (২০০২-০৪)-তারকালোক(১৯৮৮-৯০)সহ বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হওয়া কলাম নিয়ে তিনটি বই বের করছে অনন্যা। ‘মিতুর গল্প’ তিনটি গল্পের সংকলন। যা বের করছে শব্দশিল্প।