Home / মিডিয়া নিউজ / নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালোও ভালো!

নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালোও ভালো!

ভালোবাসা আদি ও অকৃত্রিম একটি ব্যাপার। মনের বিরুদ্ধে ভালোবাসা যায়না আবার ভালোবেসে ফেলার পর হারানোর ব্যথাটাও সহ্য করা যায়না। জিলাপির প্যাঁচে মোড়ানো অনুভূতির ব্যাপারটাতে জটিলতার শেষ নেই। একেকজনের কাছে ভালোবাসার শুরু ও শেষ একেকরকম।

ঠিক এমনই এক সম্পর্কের শুরু হয়েছিলো সজল ও মম’র বিয়েতে। বাবার বন্ধুর মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে করে সাংসারিক জীবনে মোটেও সুখী হতে পারেনি। হতাশা, ব্যর্থতা ক্রমশ বাড়ছিলো আশপাশের মানুষদের কথাবার্তায়। সদ্য বিয়ে করা বন্ধুর বউ দেখতে চাইলেই সজলের মেজাজ ঊনসত্তরে চড়ে! এমন কুঁচ কালো বউকে কি কারো সামনে নেয়া যায়?

কিন্তু হায় পুরুষ! যে আঁধারের রূপে ডুবে তুমি ভালোবাসতে পারোনা, হতাশায় ডুবে থাকো, সেই আঁধারে কিভাবে কুঁচ কালো মেয়েটিকে আপন করে নাও? নিজের সমস্ত আবেগ কিভাবে তাকে দিয়ে দাও? নিজের পুরুষত্বকে বিলিয়ে দিয়ে কিভাবে তখন সেই কালো মেয়েটিকেই ভালোবাসতে পারো? এসব প্রশ্নের উত্তর অজানা।

ভালোবাসার সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার হলো, এই অনুভূতিটা হুটহাট জন্ম নেয়। মনের অজান্তে অবহেলা করে আসা মেয়েটাকে ভালোবেসে কেয়ার করা হয়ে যায়। যার মুখ দেখলে মেজাজ খারাপ হয়ে যেতো তাকে না দেখে থাকতে পারা যায়না। ভাগ্যের পরিহাস, সময়ের কাজ সময়ে করা হলোনা। ভালোবাসা একজনের শুরু তো আরেকজনের শেষ।

নুজহাত আলভী আহমেদের পরিচালনায় এমনই এক না পাওয়ার গল্প ফুটে উঠেছে অভিনেতা সজল নুর ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী লাক্স চ্যানেল আই তারকা জাকিয়া বারি মম অভিনীত টেলিফিল্ম ‘কুঁচ বরণ কন্যা’ টেলিফিল্মে। চ্যানেল আইয়ে প্রচারের পর ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই টেলিফিল্মটি ইতোমধ্যে সাঁড়া ফেলেছে। টেলিফিল্মের শেষ দৃশ্যটি দর্শক নিজেরাই দেখুক, স্পয়েলার অ্যালার্ট হিসেবে শুধুই বলব যে কোনো কিছু মেনে নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েই টেলিফিল্মটি দেখতে বসুন।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *