Home / মিডিয়া নিউজ / উনিশ বছর বয়স ছিল মজার সময়: মাহিয়া মাহি

উনিশ বছর বয়স ছিল মজার সময়: মাহিয়া মাহি

হাঁটি হাঁটি পা পা করে চ্যানেল আই ১ অক্টোবরে পা দিচ্ছে উনিশ বছরে। উনিশের উচ্ছ্বাসে সামিল হতে চ্যানেল আই পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তারকারাও। ঢাকাই ছবির শীর্ষস্থানীয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি জানালেন উনিশ বছরের উচ্ছ্বাসের গল্প।

উনিশ বছরে চ্যানেল আই…

মাহি: চ্যানেল আইয়ের উনিশ বছরে তাদেরকে শুভেচ্ছা। চ্যানেল আই আরও বহুদূর এগিয়ে যাক।

চ্যানেল আই দেখা হয়?

মাহি: হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকেই চ্যানেল আই দেখা হয়। বলা যায়, আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই তাদেরকে দেখছি। তাদের অনেক অনুষ্ঠানই আমার প্রিয়।

প্রিয় অনুষ্ঠান নিয়ে?

মাহি: চ্যানেল আইয়ের তারকাকথন অনুষ্ঠানটা আমার অনেক প্রিয়। চ্যানেল আইয়ের তারকাকথন প্রোগ্রামটাই বেশি দেখতাম। আমার মনে পড়ে না কোনদিন থেকে এটি দেখা শুরু করেছি। যতদূর মনে পড়ে, তারকাকথন প্রোগ্রামে কে থাকবে তা নিয়ে খুব কৌতূহলী থাকতাম। তাই স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসতাম। ১২টার সময় স্কুল ছুটি হতো। দৌড় দিয়ে এসেই তারকাকথন দেখতে বসে যেতাম।

চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?

মাহি: চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে আমি কৃষ্ণপক্ষ ছবিতে কাজ করেছি। খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদের স্যারের উপন্যাস থেকে ছবি। আমার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা কোন চরিত্রে অভিনয় করতে পারতাম। সেটা চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমে পূরণ হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই যে চ্যানেল আই দেখে দেখে বড় হলাম সেই চ্যানেল আইয়ের ছবিতেই কাজ করেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।

চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে একটা নতুন ছবিও করছেন?

মাহি: হ্যাঁ, ‘মন দেব মন নেব’ নামের একটি ছবি করছি চ্যানেল আইয়ের। সুন্দর গল্প, রবিন খানের নির্দেশনা আর চ্যানেল আইয়ের ছবি সব মিলিয়ে না করার কোন কারণ ছিল না। আশা করি ভালো কিছু হবে। সিম্পল একটা ক্যারেক্টার। যে ক্যারেক্টারে অ্যাকশন রোমান্টিকতা সবকিছুই আছে।

চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে কাজ করতে গেলে কোন সমস্যা হয় না?

মাহি: না। তারা সবসময় আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। তারা আমাকে তাদের পরিবারের একজন হিসেবেই মনে করে। ফলে কোন সমস্যা হওয়ার কথাও না।

মাহির উনিশ বছর বয়স কেমন ছিল?

মাহি: উনিশ বছর বয়স অনেক মজার ছিল। টিনএজ টাইম। আর আমি তো ১৮ বছর বয়সেই সিনেমায় এসেছি। ফলে ঐ বয়সটা আরও বেশি মজার ছিল। কারণ একটা নতুন লাইফে ঢুকেছি। একসময়ের সাদাসিধে মেয়েটা ফ্রেন্ডদের সঙ্গে ঘুরত। ছেলেরা ডিস্টার্ব করত। কিন্তু কেউ তাকাত না যে মাহি যায়। তো ঐ লাইফ থেকে সিনেমাটিক লাইফে পদার্পনের সময় ছিল আমার উনিশ বছর। ঐ সময়টা খুব দারুণ লাগত।

সিনেমায় আসার আগে ফ্রেন্ডদের সঙ্গে সময় কাটাতাম।তখন একরকম লাগত। আর লাইট ক্যামরো অ্যাকশনের লাইফটা অন্যরকম। এখানে লাইট, ক্যামেরা অ্যাকশনের শর্ট, মাথার উপর ছাতা থাকে, সবাই হিরোইন হিরোইন বলে-এই লাইফটা অনেক কালারফুল। তো আমার উনিশ বছর বয়স ছিল সিম্পল একটা মেয়ে থেকে নায়িকা মাহি হওয়ার জার্নির সময়। এই ভালো লাগাটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না।

সেসময়ের চিন্তা-ভাবনা?

মাহি: সবকিছুই নতুন। কোনো ঝুট ঝামেলা ছিল না। চিন্তা-ভাবনাও ছিল সতেজ। সিনেমা, নিজের জীবন এসবই ছিল ভাবনায়।

উনিশ বছর বয়সে নেওয়া প্ল্যানগুলো কি সফল হয়েছে?

মাহি: না, উনিশ বছর বয়সে আমি কোন প্ল্যান করিনি। (হা হা হা) কারণ আমি কোনকিছু নিয়েই কখনো প্ল্যান করিনা। কোন পরিকল্পনা ছিল না বলেই বাড়তি কোন টেনশন ছিলনা। ফলে উনিশ বছর বয়স ছিল মজার একটা সময়।

ছবি: সাকিব রাইয়ান।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *