





জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা রোজিনা দীর্ঘদিন লন্ডনে ছিলেন। সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী






সমিতির নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। চলচ্চিত্র নিয়ে রোজিনা কী ভাবছেন?






জানা গেছে, রোজিনা পরিচালনায় আসছেন। পরিচালনার প্রস্তুতি হিসেবে কয়েকটি একক নাটক আর টেলিফিল্ম বানিয়েছেন। যেগুলো বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত হয়েছে চ্যানেল আইতে।
চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি পরিচালনায় আসবেন বলে জানান চ্যানেল আই অনলাইনকে। রোজিনা বলেন, ‘আমরা যারা চলচ্চিত্র দেখে দেখে বড় হয়েছি, তারা ইচ্ছা করলেও চলচ্চিত্র ছেড়ে থাকতে পারব না। আর তাই অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণেও আসতে চাই। ভালো গল্প নিয়ে ছবি বানাতে চাই। গল্পে যেন নতুন পুরাতন সবারই সুন্দর ভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে। আমাদের দেশে তো এমন গল্প খুব একটা হয় না যে দুই প্রজন্মের দুই আর্টিস্ট সমান গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবে।’
তিনি ভারতীয় ছবির উদাহরণ টেনে বলেন, ‘অমিতাভ বচ্চন তরুণদের নিয়ে কাজ করছেন। গল্প আর অভিনয়ের ফলে চলচ্চিত্রগুলো সব দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। ছবিগুলো যেমন হাউজফুল হচ্ছে আবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জিতছে। এমন গল্প কি আমাদের প্রেক্ষাপটে আসতে পারে না? এতে করে অভিজ্ঞরা কাজ করবে, নতুনরাও উঠে আসতে পারবে।’
দীর্ঘ দিন লন্ডন থাকায় চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্প নতুন করে জেগে ওঠার আভাস দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর অভিমান নয়। আর নয় মুখ ফিরিয়ে থাকা। তিনি বেশির ভাগ সময় দেশে থাকবেন এবং চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করবেন বলে জানান। দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিয়ে জীবনী লেখার চিন্তা আছে রোজিনার। লেখার কাজ চলছে। তবে এখনই প্রকাশ করতে চান না, এমনটাই জানালেন।
লন্ডনে থাকার দিনগুলোতে চলচ্চিত্রকে মিস করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভীষণ মিস করেছি। তবে আমি আমার সহশিল্পীদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখতাম। দেশে আসার পর সবার সঙ্গে দেখা হলে ভালো লাগে।’
১৯৮০ এবং ১৯৮৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া রোজিনা গত শতকের আশির দশকে জনপ্রিয় নায়িকাদের অন্যতম। ‘রাজমহল’, ‘মাটির মানুষ’, ‘কসাই’, ‘জীবন ধারা’, ‘অভিযান;সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি কলকাতার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গেও অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।