





চিত্রনায়ক বাবা সোহেল চৌধুরী যখন সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন তখন মেয়ে লামিয়া চৌধুরীর






বয়স মাত্র ১৩ বছর। ওই সময় থেকে বাবা হারানোর বেদনা নিয়ে বড় হয়েছেন তিনি। আশায় ছিলেন, কোনো এক দিন খুনিরা ধরা পড়বে। উপযুক্ত শাস্তি হবে।






যদিও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে একটা সময় নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন লামিয়া। ধরেই নিয়েছিলেন,






হয়ত বাবা হত্যার বিচার দেখে যেতে পারবেন না। ২৪ বছর আগের হত্যার ঘটনার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরিচিতদের কাছ থেকে খবরটি শুনেছেন লামিয়া। এরপর ফের আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি। যদিও চূড়ান্ত বিচার না পাওয়ার শঙ্কা এখনও কাটছে না তার।
লামিয়া বলেন, ‘এত বছর পর আসামি গ্রেফতার হয়েছে, দেখলাম। দেখতে চাই শেষ পর্যন্ত কী হয়। চূড়ান্ত শাস্তির অপেক্ষায় আমরা। এর বেশি এখনই কিছু বলতে পারছি না। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লামিয়া কারও নাম বা ঘটনা উল্লেখ না করে লিখেছেন, ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ।’
ধারণা করা হচ্ছে, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর লেখা জনপ্রিয় গানের লাইন দুটি তিনি তার বাবা-মা দু’জনকে উদ্দেশ্যে লিখেছেন। কেননা, তারা উভয়েই এখন অনন্তলোকের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আশিষ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা ছিল। গ্রেফতারের পর রাতভর র্যাব তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আশীষ রায় চৌধুরী একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ছিলেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।