





বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত। বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান






‘ইত্যাদি’-পরিচালনা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করে দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে সমাদৃত তিনি। যুগ যুগ






ধরে দেশের মানুষকে বিনোদন দিয়ে আসা হানিফ সংকেত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও সক্রিয়।






সোশ্যাল মিডিয়ায় এই যুগে ফেসবুকেও বেশ সরব এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। নিজের নামেই একটি অফিশিয়াল পেজ রয়েছে তার। যেখানে নিয়মিত কাজের আপডেট জানান তিনি।
হানিফ সংকেতের পেজটি বেশ আগেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভেরিফায়েড ব্লু টিক দিয়েছে। বর্তমানে তার এই পেজে ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যা হলো ১০ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটির ওপরে। দেশের শোবিজ অঙ্গনে হানিফ সংকেতই প্রথম ব্যক্তিত্ব যার অনুসারী সংখ্যা ১ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করলো। এরপরেই রয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান। তার অনুসারী সংখ্যা ৯৬ লাখের বেশি।
তাহসানের পরের স্থানে রয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। বর্তমানে এ অভিনেত্রীর অফিশিয়াল পেজে অনুসারীর সংখ্যা ৯৫ লাখের অধিক। এদিকে এক কোটির এই মাইলফলক অর্জনের পর হানিফ সংকেত তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় কোটি হৃদয়েরও বেশি মানুষ দেশ বা বিদেশ,
যে যেখান থেকে প্রাণ স্পর্শে-আনন্দ হর্ষে-সৎ আদর্শে-চিন্তার উৎকর্ষে-ভালোবেসে আমাদের এই ফেসবুক পেজে সহযাত্রী হয়েছেন, সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা ধন্য। শুভ কামনা সবার জন্য। হানিফ সংকেত ১৯৮৯ সালে বিটিভিতে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান শুরু করে। এখনো ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে একটি পর্ব প্রচার হচ্ছে।
পাশাপাশি লেখক ও নাট্যনির্মাতা হিসেবেও ব্যাপকভাবে সমাদৃত হানিফ সংকেত। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রচার হওয়া “যদি কিছু মনে না করেন” ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সামনে এলেও ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত “ইত্যাদি” দিয়ে মানুষের মন জয় করেন হানিফ সংকেত। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান “ইত্যাদি” এখনও প্রতি মাসে প্রচারিত হয়।