





গায়কের পাশাপাশি নায়ক হিসাবেও অভিনয় করেছেন এসডি রুবেল। বছর তিনেক আগে যুক্ত হয়েছেন






সিনেমা পরিচালনার সঙ্গে। পাশাপাশি কাজ করছেন নতুন গান নিয়ে। এসব বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।






* এখন কী নিয়ে বেশি ব্যস্ত?
** প্রথমবার ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নামের একটি সিনেমা পরিচালনা করেছি। এটির সেন্সরও অনেক আগেই হয়েছে। এ সিনেমার মুক্তি নিয়ে কাজ করছি।
* কবে নাগাদ সিনেমাটি মুক্তি দেবেন?
** ইচ্ছা আছে ডিসেম্বরে মুক্তি দেওয়ার। তবে করোনা পরিস্থিতির ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে তাহলে দর্শকরা এ সিনেমাটি দেখতে পাবেন।
* গায়ক থেকে নায়ক হয়েছিলেন। এরপর পরিচালক হতে চাইলেন কেন?
** হঠাৎ করেই নয় কিংবা কোনো বিশেষ কারণও না। মিউজিক ভিডিও করতে গেলেও অভিনয় করতে হয়। আর সিনেমার প্রতি আমার আলাদা দুর্বলতা ছিল। প্রথম যখন সিনেমায় অভিনয় করি তখন কিছু গল্প মাথায় ঘুরপাক খায়। ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নামে এ সিনেমার গল্পটিও আমার লেখা। ইচ্ছা ছিল সিনেমা নির্মাণ করার। সেই মনোবাসনা পূরণ করেছি।
* সিনেমা পরিচালনা নিশ্চয়ই খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল…
** অবশ্যই। আমি গানের মানুষ। শোবিজের ইতিহাসে কজন পাওয়া যাবে যে গায়ক থেকে চিত্র পরিচালক হয়েছেন? দু’একজন পাবেন, এর মধ্যে আমিও আছি। এ সিনেমায় পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছি। চিত্রনাট্য এবং সংগীত পরিচালনাও আমার। এটি আমার জন্য তাই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।
* নতুন আরেকটি সিনেমার কাজ করার কথা ছিল। সেটার অগ্রগতি কতদূর?
** এটির গল্প আমার। চিত্রনাট্যও তৈরি হয়ে গেছে। বৃদ্ধাশ্রম পর্বটা শেষ করেই পরের সিনেমার কথা সবাইকে জানাব।
* বাণিজ্যিকভাবে মন্দা সময়ে হঠাৎ সিনেমা নিয়ে এত ভাবছেন কেন?
** আগেই বলেছি সিনেমা নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক বড়। তা ছাড়া এটি আমাদের বড় পরিচয়ও বটে। বাণিজ্যিক মন্দা সময়কে আমাদেরকেই কাটাতে হবে। কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি এলাম। আমি যদি দু’একটি সিনেমা নির্মাণ করে দর্শকদের কিছু উপহার দিতে পারি, সমস্যা কোথায়।
* সিনেমার জন্য সংগীতচর্চার ক্ষতি হচ্ছে কোনো?
** একেবারেই না। সংগীত আমার নেশা ও পেশা। সংগীত দিয়েই আমার আজকের অবস্থান। নিয়মিত গান করছি। শিগ্গির আরও একাধিক গানের ভিডিও আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করব।