





ছোট্ট থেকে বড় হওয়া তারকা অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম






‘শেষ চিঠি’ গত ২ জুন একটি ওটিটি প্লাটফর্মে প্রকাশিত হয়। এই ওয়েব ফিল্ম প্রকাশের আগে দীঘি






অভিনীত সিনেমাও মুক্তি পেয়েছিল।কিন্তু সুমন ধর পরিচালিত শেষ চিঠির দীঘি যেন একজন






পরিপূর্ণ অভিনেত্রী। পাচ্ছেন দর্শকের প্রশংসা। এককথায়, অভিষেকেই সফল তিনি।
আনন্দিত দীঘি এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমি নিয়মিত ওটিটি’র (ওভার দ্য টপ) কাজ দেখতাম। সুযোগ পাওয়ার পর কাজটি করার ব্যাপারে খুবই উত্সাহী ছিলাম। ভাবিনি দর্শকের এত সাড়া পাব। আলহামদুলিল্লাহ, ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।’
চঞ্চল দীঘিকে বয়সের তুলনায় পরিপক্ক চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে এ ওয়েব ফিল্মে। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে দীঘি বলেন, ‘তুলি’ চঞ্চল মেয়ে।
সে জায়গা থেকে নিজের সাথে মিলিয়ে অভিনয় করতে পেরেছি। কিন্তু সাংসারিক বিষয়গুলো সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা নেই। জানাও নেই তেমন কিছু। এ জায়গাগুলো ফুটিয়ে তোলা একটু তো চ্যালেঞ্জিং ছিলই। পুরোটাই পরিচালক সুমন ধর ও ডিওপি রাজু রাজের পরামর্শ মেনে করা। তারা শুটিং সেটে যে সহযোগিতা করেছে, তার ফলেই এ অভিনয় বেরিয়ে এসেছে। যদিও শুরুতে নার্ভাস ছিলাম। ইয়াশ রোহান আমাকে আলাদাভাবে সময় দিয়েছে। সহজ করে নিয়েছে। সাবেরী আন্টি সেটে খুবই আদর করতেন। সবমিলিয়ে সহশিল্পীরা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।’
দীঘি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখনো কিছুই করতে পারিনি। এখনো অনেক কিছু করা বাকি। যদিও প্রথম ওটিটি কনটেন্টে দর্শক প্রচুর প্রশংসা করছে। তবুও, দর্শককে আরও ভালো কাজ উপহার দেওয়া বাকি।’
প্রথম ওয়েব ফিকশনের সাফল্যে দীঘি মনে করেন—তার দায়িত্ব আরও বাড়ল। আরও কিছু কাজের ব্যাপারে কথা চলছে। যে কাজই করবেন, ভালো কাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
কথা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় দীঘির পোস্ট নিয়ে। প্রায়ই তাকে বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়। এ বিষয়ে দীঘির ভাষ্য, ‘আমার আগের অনেক ভিডিও আছে। এখন তেমন সময় পাই না। যখন পাই তখন দু’একটা ভিডিও পোস্ট করতেই পারি। অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরাও তাই করেন। আমাকেও সে কাতারে ফেলা হোক। তা ছাড়া সময় পেলে ভিডিও দিতেই পারি, সে স্বাধীনতা আমার আছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ জনপ্রিয় দীঘি। সে প্রসঙ্গ তুলতেই আপ্লুত দীঘি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘মানুষ আমাকে এত পছন্দ করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে তাদের সে ভালোবাসা টের পাই। তখন মনে হয়, আমি তাদের জন্যই বেঁচে আছি। অন্যরকম অনুভূতি হয়। সবসময় এমন ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।’