





‘সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (এসএফএফ) ২০২২’-এর প্রতিযোগিতা পর্বের বিচারক নির্বাচিত হয়েছেন






বাংলাদেশের নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফারুকীসহ মোট পাঁচ বিচারক প্রতিযোগিতা বিভাগের






১২টি সিনেমা থেকে পুরস্কারের জন্য সেরা সিনেমার রায় দেবেন। উৎসব চলবে ৮ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত।






এবার বসবে উৎসবের ১৩তম আসর। ফারুকীর সঙ্গে বিচারক হিসেবে আরও থাকবেন তুরস্কের একজন, জাপানের একজন এবং অস্ট্রেলিয়ার দুইজন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
এর আগে এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড, বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও তালিন ব্ল্যাক নাইটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিচারক হয়েছেন ফারুকী।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি উৎসবে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এবার যাচ্ছেন সিডনিতে। বাংলাদেশ থেকে বিদেশের উৎসবে বিচারক হওয়ার ব্যাপারটিকে ইতিবাচক মনে করছেন ফারুকী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন উৎসবের মূল প্রতিযোগিতার বিভাগগুলোয় অনেক দিন ধরেই বিচারক নিয়োগ করা হচ্ছে। আমি নিজেও কয়েকবার হয়েছি। এটা ইতিবাচক বটে। এই অর্থে যে বাইরের দুনিয়া আমাদের দেশ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে।’
এ রকম উৎসবে বিচারক হলে দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা হয়। বিশ্বের নানা ভাষার নানা ধরনের ছবি দেখা হয়। ফারুকীও বললেন তেমনটাই। ‘সিডনির প্রতিযোগিতা বিভাগ খুবই শক্তিশালী ছবিতে ঠাসা থাকে। যেমন এবারের প্রতিযোগিতায় এ বছর কান উৎসবের আলোচিত বেশ কয়েকটি ছবি আছে। আছে বার্লিনে গোল্ডেন বিয়ারজয়ী ছবি। আছে সানড্যান্স জয় করা ছবিও। ফলে সাম্প্রতিক সময়ের সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো থেকে বেছে সেরা ছবি বের করাটা হবে বড় চ্যালেঞ্জের কাজ,’ বলেন ফারুকী।
প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের একজন হিসেবে উৎসবে যোগ দেবেন ফারুকী, সেই সঙ্গে ১৬ ও ১৯ জুন তাঁর নো ল্যান্ডস ম্যান প্রদর্শিত হবে সেখানে। এ উপলক্ষে মেলবোর্ন থেকে আসবেন ছবির অভিনেত্রী মেগান মিশেল। ১৬ জুন স্থানীয় সময় রাত সোয়া আটটায় জর্জ স্ট্রিটের ৩ নম্বর সিনেমা হলে এবং ১৯ জুন রাত আটটায় প্যালেস সেন্ট্রাল সিনেমা হলে অগ্রিম টিকিট কেটে সিনেমাটি দেখতে পারবেন দর্শকেরা।
দেশের দর্শকেরা ছবিটি কবে দেখতে পাবেন? মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘দেশের দর্শকেরা যে কবে ছবিটি দেখতে পাবেন, সেটাই ভাবছি। আসলে কয়েকটি দেশ মিলিয়ে মুক্তির সহজ উপায় কী হতে পারে, যাতে অর্থনৈতিক দিকটাও ঠিকঠাক থাকে, এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি তো পারলে কালই দেখাই। কারণ, এই ছবি আমার বানানো সবচেয়ে প্রিয় ছবি। আমি ও মেগান সিডনির শোতে থাকব। আমি এক্সাইটেড অস্ট্রেলিয়ান দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য।’
দেশের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। তাঁদের নিয়ে অনেক আশাবাদের খবর আসছে। তাঁদের সম্ভাবনাটা আসলে কোথায়? কত দূর যেতে পারবেন আমাদের তরুণ নির্মাতারা?
এ প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, ‘২০১২ সালে বুসানে যখন ক্লোজিং স্পিচ দিতে উঠি, তখন আমার হাঁটু কাঁপছিল। দুর্বল ইংরেজিতে যে কথা বলার চেষ্টা করেছি, সেটা হলো,
বাংলাদেশের দিকে চোখ রাখুন। আমাদের পাইপলাইনে অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ নির্মাতা আছেন। তাঁরা বিচিত্র সব গল্প নিয়ে হাজির হবেন শিগগিরই। এ কথা তখনো বিশ্বাস করেছি, এখনো করি। আমাদের কেবল সামনে যাওয়ার পালা, আমাদের কেবল নতুন নতুন দিগন্ত খোলার পালা।’