





সত্তর দশকের সুন্দরী, স্টাইলিশ, স্মার্ট এক নায়িকার নাম নূতন। যিনি ১৯৭০ সালে মুস্তফা মেহমুদ পরিচালিত






‘নতুন প্রভাত’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন করেছিলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, প্রথম ছবিই






মুক্তির পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই নায়িকাকে। এরপর থেকে একের পর এক হিট ছবি উপহার






দিয়ে তিনি প্রথম সারির নায়িকার কাতারে চলে আসেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে তিনি এখন নিয়মিত নন। তবে তিনি নিজেকে এখনও নায়িকাই মনে করছেন।
নায়িকা নূতন চলচ্চিত্রে অভিনয় কমিয়ে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব। তিনি ফেসবুকে নিয়মতি পোস্ট দেন। আজ বিকালে তিনি এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। নূতন লিখেছেন:
‘আমি মানুষ যে বয়সেরই হই না কেনো মনে মনে আমি নিজেকে সব সময় নায়িকা ভাবি। আমি নায়িকা ছিলাম আছি থাকবো। মানুষ হওয়ার পরে আমি নায়িকা হয়েই মরবো।’ নন্দিত নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো লিখেছেন: ‘শ্রদ্ধেয় দিলীপ বিশ্বাস আমাকে একবার বলছিলেন- নায়িকারা নায়িকাই হয়। অভিনেত্রীরা অভিনেত্রী আর চরিত্রাভিনেত্রীরা চরিত্রাভিনেত্রী হয়। তুমি নায়িকা হয়ে গেছো নায়িকাই থাকবা।’
এখনও তিনি নিয়মিত জিম ও ডায়েট করেন উল্লেখ করে লিখেছেন: ‘যদিও প্রয়োজনের তাগিদে বা অভিনয়ের লোভে আমি খলনায়িকা, মা, বোন হয়েছি। তবে মনে-প্রাণে, চলনে-বলনে আমি নিজেকে আমার কাছে সবসময় নায়িকাই ভাবি। সেই ৮০/৯০ দশকের মতোই নিয়ম করে বেয়াম, খাওয়া-দাওয়া ফিল্ম নিয়ে ভাবনা সব একই রকম আছে, শুধু শুটিং নেই।’
নতুনের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো– ওরা ১১ জন, পাগলা রাজা, রাজদুলারী, সৎভাই, কাবিন অত্যাচার, বারুদ, নাগিন, রাজনর্তকী, সতী নাগকন্যা, পাতাল বিজয়, বিজয়, রাজলক্ষ্ণী শ্রীকান্ত,
নাগ নাগিনী, প্রহরী, নাচ নাগিনা নাচ, ব্যবধান, নতুন প্রভাত সংগ্রাম, বাদশা, ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে, প্রাণ সজনী, বদনাম, অলংকার, সৎভাই, কাবিন, বনের রাজা টারজান, বাঘা বাঘিনী, নাচে নাগিন, নাগিনী সাপিনী, রূপসী নাগিন, স্ত্রীর পাওনা প্রভৃতি। মূলত নূতন অনেক দিক থেকেই স্বতন্ত্র এক নাম বাংলা চলচ্চিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’-এর অংশ হতে পেরে নূতন তার ক্যারিয়ারের অনেক বড় পাওনা অর্জন করেছিলেন।