Home / মিডিয়া নিউজ / ২০ বছর ধরে প্রস্তাব পাচ্ছি, কিন্তু কাজের সময় পাচ্ছি না: ফেরদৌস

২০ বছর ধরে প্রস্তাব পাচ্ছি, কিন্তু কাজের সময় পাচ্ছি না: ফেরদৌস

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। ওপার বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রচুর কাজ করেছেন।

সেখানে তার বেশ জনপ্রিয়তা আছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন না।

আপাতত দেশেই ব্যস্ত এ অভিনেতা। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রশ্ন: শুনেছি ঈদের পর সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন?

ফেরদৌস: হ্যাঁ, সিনেমার কাজ নিয়ে এই সময়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। গত ১৩ মে আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘মানিকের লালকাঁকড়া’ ও পরদিনই হূদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ ছবির কাজ শেষ করেছি।

প্রশ্ন: ছবি দুটিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

ফেরদৌস: এক কথায় যদি বলি তাহলে বলব অসাধারণ। ‘মানিকের লালকাঁকড়া’ সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে নির্মিত হয়েছে। ছবিতে লেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছি।

সময়ের বড় অসঙ্গতির কথা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতাও ছিল ভালো। ভীষণ পারফেকশনিস্ট নির্মাতা হূদি হক। তিনি ধরে ধরে কাজ করেন। একটি ছবি যেভাবে নির্মাণ হওয়া উচিত, সেভাবেই হয়েছে। এখানে আমার চরিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের। দুটিই অনুদানের ছবি।

প্রশ্ন: ইদানীং অনুদানের ছবিতে বেশি কাজ করছেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো দুর্বলতা আছে?

ফেরদৌস: এটি সত্যি যে, শুধু অনুদানের ছবি নয়, আমার ভালো কাজের প্রতি আলাদা দুর্বলতা রয়েছে। ভালো চিত্রনাট্য দেখে সরকার সিনেমায় অনুদান দেয়। এ ধরনের সিনেমার প্রস্তাব পেলে ভাবি, এতে আমার কী করণীয় আছে।

প্রশ্ন: নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দুই বছর পর কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে নতুন কোনো কাজের ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে?

ফেরদৌস: গত বিশ বছর ধরে কলকাতার ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে আসছি। দেশেই অনেক সিনেমায় অভিনয় করছি। কলকাতার ছবিতে কাজের সময় কোথায়। তবে কলকাতার কয়েকজন নির্মাতা আমাকে কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন। গল্প ও চরিত্র নিয়ে কথা হচ্ছে।

প্রশ্ন: ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন। বিশেষ কোনো চরিত্রের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে?

ফেরদৌস: দু’তিনটি ছবি ছাড়া আমি আর কোনো ছবিতে কাজ করে শতভাগ তৃপ্তি পাইনি। এই সময়ে এটাই মনে হয়েছে। আমি মনে করি, আমার অভিনয় সত্তাকে শতভাগ কাজে লাগানো হয়নি। সেই জায়গা থেকে কিছু অতৃপ্তি অবশ্যই রয়ে যায়। গঙ্গাযাত্রা’র মতো যদি আরেকটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাই তাহলে আরও অনেক বেশি জাস্টিফাই করতে পারব। তখন নিজেকে আরও ভাঙবো, চুড়বো- সেরকম একটি চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *