





হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানিং মেশিনে ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ও গুলি ধরা






না পড়াকে মিথ্যা দাবি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।






কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি যে সত্য সেই ভিডিওতেই প্রমাণিত।’






ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আমার বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করছে। কিন্তু সেদিন বিমানবন্দরে যা হয়েছিলো তার একটি ভিডিও ফেসবুকে এরই মধ্যে চলে এসেছে।’ ভিডিও ফুটেজগিলো জনগণ ও মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করার জন্য আহ্বান জানান জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ও গুলি ধরা না পড়ার প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, একের পর এক অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
বিবৃতি বলা হয়, গত ৫ মার্চ চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ও গুলি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের স্ক্যানারে ধরা না
পড়ার প্রসঙ্গে জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলছেন যে, ‘ব্যাগে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তলটি বাসায় রেখে আসতে ভুলে যাই। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের প্রবেশ গেটে ব্যাগটি তল্লাশি করা হয়। নভো এয়ারের বোর্ডিং কাউন্টারে এসে ব্যাগে থাকা পিস্তলের কথা মনে পড়ে। স্ক্যানিং মেশিনে পিস্তল ধরা না পড়ায় আমি অবাক হই। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। তাৎক্ষণিক শাহজালাল কর্তৃপক্ষ আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে।’
‘‘চিত্রনায়ক জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেন, ‘প্রথম স্ক্যানার পার হওয়ার পরে মনে পড়ায় আমিই তাদের কাছে গিয়েছি। কেন স্ক্যানারে এ বিষয়টি ধরা পড়েনি তা নিয়ে আমি তাদের কাছে অভিযোগ করেছি।’ কিন্তু সত্য হচ্ছে এই যে, ঘটনার বিষয়ে জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সংবাদমাধ্যমে অন্যায়ভাবে একের পর এক অসত্য কথা বলছেন। প্রকৃতপক্ষে ঐদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যা ঘটেছে তা হল-
জনাব ইলিয়াস কাঞ্চনের ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা পিস্তল ও গুলি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের এন্টি হাইজাকিং পয়েন্টে স্ক্যানিং করার সময় তা মেশিনে শনাক্ত হয়। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি তার ভুল স্বীকার করেন। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাকে বিমানবন্দরের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিস্তলটি বহন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ওই স্থান থেকে ফেরত যান। পরবর্তীতে তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিমানে চট্টগ্রামে গমন করেন।’’