





ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। সম্প্রতি কক্সবাজারে ‘নায়ক’ ছবির শুটিং শেষ করেই ছুটে যান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।






বাপ্পি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য আমরা কক্সবাজার থেকে সকাল ৮টায় যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রায় ৫০ কি.মি. দূরত্বে জমাতলি রোহিঙ্গা শিবিরে পৌঁছাই। দীর্ঘক্ষণ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। এ অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
বাপ্পিকে ঘুরে ঘুরে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবির দেখাতে সাহায্য করে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের কর্মীরা। বাপ্পি নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের মধ্যে দিয়ে যখন হেঁটে যাচ্ছিলাম, বাঁশের তৈরি হাজারও ছোট ঘর দেখেছি। সেখানে মিয়ানমারের নির্যাতিত ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাস করছে।
বেশ আড্ডার পর বাপ্পি একটি চাইল্ড ফ্রেন্ডলি স্পেসে গিয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা দেখেন। শিশুদের সঙ্গে লুডু, ফুটবল খেলায় অংশ নেন। সবার মধ্যে চকলেট বিতরণ করেন তিনি।
এরপর সেখান থেকে চকরাম গিয়ে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েদের একটি গ্রুপের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের ভবিষ্যতে নিজেদের ক্ষমতায়নে সাহস যোগান। এছাড়া, বাল্যবিবাহ ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কথা বলেন এ অভিনেতা।
সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বাপ্পি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতা দেখিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। মানবতাই সবচেয়ে বড় ধর্ম।
উল্লেখ্য, বাপ্পি কক্সবাজারে যুগল নির্মাতা ইস্পাহানী আরিফ জাহানের নায়ক ছবির শুটিং শেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। নায়ক ছবিতে বাপ্পির সাথে জুটি বেঁধেছেন নবাগতা অধরা খান।