





শীতে শুটিং বেশ কষ্টকর। বিশেষ করে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা। আর অভিনয়শিল্পীদের






তো অনেক সময় পানিতে নামতে হয়, ভিজতে হয়। ভয়াবহ কিছু অভিজ্ঞতা আছে আমার।






‘প্রেমিক পুরুষ’ ছবির শুটিংয়ে আমরা কক্সবাজার গেলাম। তখন ডিসেম্বরের শেষ। কনকনে শীত,






তার ওপর শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। আমরা সেখানে পৌঁছেছি বিকেলের দিকে। পরিচালক এসে আমাকে বললেন ‘আপনার তো বৃষ্টিতে ভেজার একটা দৃশ্য আছে। এ ছাড়া অল্প কিছু দৃশ্য বাকি, এগুলো করলেই ছবির শুটিং শেষ হয়ে যাবে।’
আমি কিছু মনে করলাম না। বললাম, ঠিক আছে ব্যবস্থা করেন শুটিংয়ের। শৈত্যপ্রবাহের কারণে মনে হচ্ছিল বরফ ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাতাস গায়ে এসে বিঁধছে। পরিচালক বললেন, ‘কোনো সমস্যা নেই দিদি। আমরা গরম পানির ব্যবস্থা করব।’ শুটিং শুরু হলো। পরিচালক অ্যাকশন বলার পর পানি এসে আমার গায়ে পড়ল। মনে হচ্ছিল বরফ ঢালা হচ্ছে গায়ে।
পানি হয়তো গরমই ছিল, কিন্তু শৈত্যপ্রবাহে কতক্ষণ আর গরম থাকে! আর শুটিং তো শুটিংই। আবহাওয়া কেমন থাকবে সেটা ভেবে তো শুটিং বন্ধ রাখা যায় না। অনেক লোকসানের মুখে পড়তে হয় প্রযোজককে। ছবিতে গ্রামের দৃশ্য থাকলে বেশির ভাগ সময় হোতাপাড়ায় শুটিং হয়। এলাকাটা পুরোই গ্রামের মতো। এ কারণে শীতও বেশি লাগে। তবে শীতের সময় মিষ্টি রোদটা খুব ভালো লাগে।