Home / মিডিয়া নিউজ / এখনও বিয়ে করেননি ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়িকারা

এখনও বিয়ে করেননি ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়িকারা

শীত আসলেই নাকি বিয়ের সানাই বেশি শোনা যায়। বিষয়টি গ্রামে-গঞ্জে এমনকি শহরের মানুষের

মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়। বিয়ে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটি গুরুত্ববাহী ও কাঙ্ক্ষিত বিষয়। কেউ

কেউ অল্প বয়সে কিংবা খুব তাড়াতাড়িই কাজটি সেরে ফেলেন। অনেকে বুঝে-শুনে সময় নিয়ে বিয়ে

করেন। তারকাদের বিয়ের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। ঢাকাই চলচ্চিত্রে এমন বেশ কয়েকজন তারকা রয়েছেন যারা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকলেও এখনও জীবন কাটাচ্ছেন একাকী ও নিঃসঙ্গ। বয়স যখন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে তখনও তাদের মুখে বিয়ের নাম নেই। ফুটবে কবে তাদের বিয়ের ফুল? এমন প্রশ্ন লাখো ভক্তের মনে। এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় ঢাকাই চলচ্চিত্রের পাঁচ চিত্রনায়িকার কাছে।
সিমলা

১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় ‘ম্যাডাম ফুলি’। এ সিনেমার নাম মনে এলেই অনায়াসে সিমলার নাম চলে আসে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী সিমলা ‘ম্যাডাম ফুলি’ দিয়েই চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। এর পরে বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন। চলচ্চিত্রের পর্দায় তাকে এখন আর নিয়মিত দেখা যায় না। ক্যারিয়ারের ১৭ বছর কেটে গেলেও এখনও বিয়ে করেননি তিনি। তবে তার সমসাময়িক অনেকেই বিয়ে করে সংসার সাজিয়েছেন। ফুটবে কবে বিয়ের ফুল? এমন প্রশ্নে প্রথমে কিছুটা বিব্রত অবস্থায় পরেন এ অভিনেত্রী। এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘বিয়ে প্রত্যেক মানুষের ব্যাক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে অন্যদের টানা-হেচড়া না করাই ভালো। বিয়ে যখন করবো তখন সবাই জানতে পারবেন।’

সিমলা অভিনীত সর্বশেষ ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মাসুদ পথিক। এতে তিনি ‘ফাতেমা’ চরিত্রে রূপদান করেছেন। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে রুবেল আনুষের ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ও রশিদ পলাশের ‘নাইওর’ সিনেমা দুটি। সাদিকা পারভিন পপি

পপি ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘কুলি’। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানি। এ পর্যন্ত তিনি মেঘের কোলে রোদ, কি যাদু করিলা, গঙ্গাযাত্রা সিনেমায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

অভিনয় জীবনে এত সফলতা নিয়েও এখন পর্যন্ত তিনি একাকী জীবন কাটাচ্ছেন। জীবনসঙ্গীর খোঁজ এখনও মেলেনি। এ বিষয়ে পপি বলেন, ‘একাকী আছি বেশ ভালোই আছি। হয়তো খুব শিগগিরি শুনবেন, বিয়ে করে সংসারি হয়েছি। এবার আসল কথায় আসি। চলচ্চিত্রের মানুষ, বিয়ে করলে এ অঙ্গনের মা্নুষদের জানি্য়েই বিয়ে করবো।’

শাহনূর

২০০০ সালে ‘জিদ্দি সন্তান’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে শাহনূরের। এর আগে ১৯৯৫ সালে তিনি টেলিভিশন ফটোসুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পুরো নাম সৈয়দা কামরুন নাহার মৌসুমী। ডাকনাম শাহনূর। ১৯৮০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি যশোরের তুলারামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ‘রাজা বাবু’, ‘লাভ স্টেশন’, ‘প্রেমিক নাম্বার ওয়ান’, ‘এ চোখে শুধু তুমি’, ‘টপ সম্রাট’, ‘স্বপ্নের বাসর’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার সমসাময়িক অনেকেই বিয়ে করে সংসারি হয়েছেন কিন্তু তার এখনও বিয়ের সানাই বাজেনি। ফুটবে কবে বিয়ের ফুল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিয়ে কবে হবে এটা আমি ইচ্ছে করলেই বলতে পারবো না। এটা সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভর করে। তিনি যখন বিয়ে করার হুকুম করবেন তখনই বিয়ের পিড়িতে বসবো।’

কেয়া

মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কঠিন বাস্তব’ সিনেমার মাধ্যমে পর্দায় হাজির হন চিত্রনায়িকা কেয়া। ২০০১ সালে হিট সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেয় সিনেমাটি। এতে রিয়াজ ও আমিন খানের বিপরীতে অভিনয় করেন কেয়া। প্রথম সিনেমাতেই ৬৪ মাত্রায় নেচে রুপালি জগতসহ দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেন এ শিল্পী। এরপর মান্না, আমিন খান, শাকিব খানসহ জনপ্রিয় প্রায় সব নায়কের বিপরীতেই দেখা গেছে তাকে।
কেয়া অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমার তালিকায় রয়েছে মতিন রহমান পরিচালিত ‘মহব্বত জিন্দাবাদ’, মুহম্মদ হান্নানের ‘সাহসী মানুষ চাই’, শাহিন সুমনের ‘নষ্ট ছবি’, মনতাজুর রহমানের ‘রংবাজ বাদশা’। এছাড়া ‘তুমি কি সেই’, ‘রাজধানীর রাজা’সহ আরও অনেক ব্যবসা সফল সিনেমা। তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি সিনেমায় কাজ করেছেন। এছাড়া বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে কাজ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ চিত্রনায়িকার এখনও বিয়ের সানাই বাজেনি। ফুটবে কবে বিয়ের ফুল? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিয়ের কথা এখনও ভাবছি না। আমাকে বুঝবে এমন পাত্রকে বিয়ে করবো। শুধু টাকা হলেই হবে না। ভালো পাত্র পেলেই বিয়ে করবো। তবে এসব নিয়ে এখনও ভাবছি না।’

রত্না

২০০২ সালে ‘কেন ভালোবাসলাম’ শিরোনামের সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রত্না। সেলিম আজম পরিচালিত এ সিনেমায় তিনি ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন। এরপর কাজী হায়াতের পরিচালনায় ‘ইতিহাস’সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রত্না। তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ইতিহাস’, ‘কেনো ভালোবাসলাম’, ‘প্রিয় সাথী’, ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ প্রভৃতি। ক্যারিয়ারের এক যুগ ব্যবধানে চিত্রনায়িকা রত্না অর্ধশত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে তার অভিনীত ৪৮টি চলচ্চিত্র ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে। তাছাড়া সত্যরঞ্জন রোমানের ‘পরাণ পাখি’ ও রকিবুল আলম রকিবের ‘নষ্ট মুন্না’শিরোনামের দুটি সিনেমা বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী এখনও ঘর বাধার মতো মনের মানুষ খুঁজে পাননি। এখনও তিনি একাকি জীবন কাটাচ্ছেন। ফুটবে কবে বিয়ের ফুল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিয়ে যখন করবো তখন আপনাদের সবাইকে দাওয়াত করে জানাবো। বিয়ে তো করবোই। তবে মনের মত মানুষ পেলেই বিয়ের কাজটি সেরে ফেলবো।’
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *