





বিনোদন ডেস্ক :প্রতিষ্ঠিত খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান। বিত্তবৈভবও কম নয়। তারা এগিয়ে এসেছেন মানুষের






পাশে, সচেতনতামূলক কাজে। এ ধরনের কয়েকজন খ্যাতিমান মানুষের সচেতনতামূলক কাজ সম্পর্কে থাকছে এখানে-






শাবানা আজমি
বলিউড অভিনেত্রী
বয়স এখন ৬৭। কিন্তু বসে নেই বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী অভিনেত্রী শাবানা আজমি। এ বয়সে অভিনয়ে যেমন ব্যস্ত তিনি, তেমনি সমাজসেবাতেও নিবেদিত। তার এসব কাজের মধ্যে রয়েছে শিশু অধিকার রক্ষা, এইডস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা। নিজ দেশের জাতীয় এইডস কমিশনের একজন সদস্যও বটে তিনি। শাবানা আজমি যুক্ত আছেন মিজওয়ান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। ভারতের উত্তর প্রদেশে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার বাবা বিখ্যাত কবি প্রয়াত কাইফি আজমি।
কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে শাবানা আজমির প্রতিষ্ঠান। শাবানা জাতিসংঘের পপুলেশন ফান্ডের শুভেচ্ছাদূতও। কংগ্রেস তাকে রাজ্যসভার সদস্যপদ দেয় ১৯৯৭ সালে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক বোর্ডের একজন সদস্যও তিনি।
মমতাজ বেগম
বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী
মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল, তার স্বপ্নের জায়গা। নামমাত্র মূল্যে রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারেন হাসপাতালে। হাসপাতাল শুধু একটাই নয়, ২০০৮ সালে সিঙ্গাইর উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘মমতাজ শিশু ও চক্ষু হাসপাতাল’।
কণ্ঠশিল্পী থেকে এসেছেন রাজনীতিতে। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এই শিল্পী। মমতাজ বেগম এখন দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে। নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে প্রচার চালানোর জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক চক্ষু চিকিৎসা সংস্থা অরবিসের দৃষ্টিদূত হিসেবেও বাংলাদেশে কাজ করেছেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশি অভিনেতা
সড়ক ১৯৯৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী। ওই বছরেরই ১ ডিসেম্বর কার্যক্রম শুরু করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর। উদ্দেশ্য, সচেতনতার মাধ্যমে সড়কে দুর্ঘটনার হার কমানো। মহাসমাবেশ, জনসভা, শোভাযাত্রা, সেমিনার, ব্যানার, ভিডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করা হয় এ সংগঠনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া স্কুলে স্কুলে গিয়ে ভিডিওর মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ দেখিয়ে সচেতন করা হয় শিক্ষার্থীদের। গড়ে তুলেছেন গাড়ি চালনার একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রও। ন্যূনতম এসএসসি পাস হলেই তিন মাসের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেওয়া যায় এই কেন্দ্র থেকে। অন্য চালকদের জন্যও রয়েছে নানা কার্যক্রম।
লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও
মার্কিন অভিনেতা
একজন পরিবেশবাদী তিনি। অস্কার বিজয়ী এই অভিনেতা অভিনয় এবং পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি—দুটোই সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন।
১৯৯৮ সালে ডি ক্যাপ্রিও প্রতিষ্ঠা করেন ‘লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন’। এ সংগঠন কাজ করে বিশ্বে এখনো টিকে থাকা বনাঞ্চল নিয়ে। পাশাপাশি জলবায়ু, পরিবেশ ঘিরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করে। বাঘ, হাতি, হাঙরসহ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্থাকে অনুদান দেয় এই সংগঠন। এখন পর্যন্ত ৪৬টি দেশে কাজ করছে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ২০১৪ সালে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও নির্বাচিত হন জাতিসংঘের শান্তিদূত হিসেবে।
লিওনেল মেসি
আর্জেন্টাইন ফুটবলার
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবার বিশ্বজনীন অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ। এ জন্য বিশ্বের বিখ্যাত তারকাদের নিয়ে একটি দল গড়েছে জাতিসংঘ। দলের সদস্য সংখ্যা ১৭। তাদেরই একজন লিওনেল মেসি। এর অংশ হিসেবে শিশুমৃত্যুর হার কমানো, অপুষ্টি দূর করার জন্য প্রায়ই বিভিন্ন প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায় এ ফুটবল তারকাকে।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মেসি কাজ করছেন ২০১০ সাল থেকে। ইউনিসেফের ‘ওয়ান ইন ইলেভেন’ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার নিরক্ষর শিশুদের স্কুলগামী করতে প্রচারণাতেও অংশ নিয়েছেন মেসি। এ ছাড়া ইউনিসেফের বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমে তার উপস্থিতি রয়েছে।