





কিন্তু জীবিত মানুষটিকেও যদি তার নিজের মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়, তার এবং পরিবারের মনের






অবস্থা কেমন হয়! অথচ এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে চলচ্চিত্রের বহু গুণী অভিনেতা অভিনেত্রীদের।






সর্বশেষ এমন বিব্রতকর গুঞ্জনের শিকার হয়েছেন করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন অভিনেতা আলমগীর। কিংবদন্তী এই অভিনেতা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও বাড়তি সতর্কতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেই সুযোগটিই নিয়েছে অসাধু একটি শ্রেণি।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে গুণী এই অভিনেতার ভুয়া মৃত্যু সংবাদ! আর এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অভিনেতার সহধর্মিনী ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা।
মৃত্যু নিয়ে এমন অসত্য ও ভুয়া খবর না ছড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন এই কিংবদন্তী। গুজবকারীদের এমন আচরণে বিরক্ত আলমগীরের মেয়ে ও কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর। জানিয়েছেন, যারা তার বাবার মৃত্যুর গুঞ্জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গুজবকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বিনোদন জগতের অনেকেই আঁখি আলমগীরের ও তার পরিবারের এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় ইউটিউবকে। যেখানে ‘ভিউ’ পেতে ভুয়া খবর শিরোনাম করে মানুষকে আগ্রহী করা হয় ক্লিক করতে! চিত্রনায়ক ওমর সানীর ক্ষোভ তাই এদের প্রতি।
আলমগীরকে নিয়ে গুজব ছড়ানোর পর তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওমর সানী দাবি করেন, ইউটিউব চ্যানেলের প্রতি একটা নীতিমালা থাকা উচিত, তথ্য মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে থাকা উচিত তা কী হচ্ছে। কত হাজার গুঞ্জন হলে নীতিমালা করবেন?
নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওমর সানী আরো লেখেন, আমাকে মেরেছে কয়েকবার। মৌসুমীকে মেরেছে, এটিএম সাহেবকে মেরেছিল অনেকবার। আরো অনেককে মেরেছে। মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং কাল্পনিক গল্প, আজ জলজ্যান্ত আমাদের চলচ্চিত্রের বটবৃক্ষ আলমগীর সাহেবকে মারলেন। না উনি মারা যাননি, বেঁচে আছেন।
ইউটিউবে নীতিমালার জোর দাবী জানিয়ে এই তারকা বলেন, একটা নীতিমালা হওয়া উচিত, কোনো কন্ট্রোল নেই, আমাদের বিক্রি করে দেদারছে পয়সা কামাচ্ছে তারা, যারা এগুলো করছে তারা কী মানুষ নাকি!