Home / মিডিয়া নিউজ / সেদিনের অনাথ অর্পিতা খানই আজ সলমনের বোন

সেদিনের অনাথ অর্পিতা খানই আজ সলমনের বোন

নানা রূপে অর্পিতা সলমন খানের আদরের বোন অর্পিতা খান কিছুদিন আগেই খবরের কাগজের

শিরোনামে এসেছিলেন মা হওয়ার সুবাদে। অর্পিতার শিশুপুত্র আহিলকে কোলে নিয়ে সলমনের আদরের

ছবি সেই সময় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। সলমনের মতো ভাই, ব্যবসায়ী আয়ুষ শর্মার মতো নিষ্ঠাবান স্বামী,

আর আহিলের মতো ফুটফুটে একটি সন্তান রয়েছে যাঁর, তিনি নিশ্চয়ই পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবতীদের মধ্যে একজন, এমনটাই মনে করা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই যেটা জানেন না, সেটা হল, ছোটবেলা থেকে অজস্র উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে অর্পিতা খানের জীবন। এবং আদপে তাঁর জীবনকাহিনি কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়ে কম কিছু নয়।

অর্পিতা আসলে খান পরিবারের সন্তান নন। অর্পিতার পিতৃপরিচয় অজানা। তাঁর মা ছিলেন এক ফুটপাথবাসিনী। অর্পিতা যখন খুব ছোট তখনই মারা যান অর্পিতার মা। মায়ের মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদছিল ছোট্ট অর্পিতা। সেই সময় গাড়ি করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী হেলেন। তিনিই শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে সলমনের বাবা চিত্রনাট্যকার সেলিম খান বাচ্চাটিকে দত্তক নেন এবং অনাথ শিশুটিকে পিতৃপরিচয় প্রদান করেন। অবশ্য এই কাহিনির সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন কেউ কেউ। তবে অর্পিতা যে সেলিমের দত্তক পুত্রী, সেই বিষয়ে সংশয় নেই কোনও।

কিন্তু পিতৃপরিচয় যাই হোক না কেন, অর্পিতাকে আপন করে নিতে সময় লাগেনি খান পরিবারের। তিনি বাড়ির ছোট মেয়েটির মতোই আদরে বড় হতে থাকেন। পরবর্তীকালে লন্ডন কলেজ অফ ফ্যাশন থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট পাশ করেন অর্পিতা। একটি ন‌ামজাদা আর্কিটেকচার ও ইন্টেরিয়ার ডিজাইন ফার্মে তিনি এখন কাজ করছেন। তবে নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড খোলার ইচ্ছে রয়েছে অর্পিতার। সেই সঙ্গে রয়েছে ফিল্ম প্রোডাকশনে নিজের ভাগ্য পরীক্ষার ইচ্ছেও।

কৈশোরে অর্পিতা অর্জুন কপূরের সঙ্গে একটি প্রণয়সম্পর্কে জড়়িয়ে পড়েন। অর্জুন তখন মাত্র ১৮ বছরের। অর্জুন সেই সময় বিরাট মোটা ছিলেন। তাঁর ওজন ছিল ১৪০ কেজি। শোনা যায়, সলমন খানের অনুপ্রেরণাতেই নাকি ওজন কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হন অর্জুন। দু’জনের ভালবাসা খুবই গভীর ছিল। কিন্তু অর্জুন-অর্পিতার সম্পর্ক বছর দু’য়েকের বেশি টেকেনি।

২০১৩-তে আয়ুষের সঙ্গে আলাপ হয় অর্পিতার। আলাপ অচিরেই গড়ায় প্রেমে। ২০১৫-তে দু’জনে বাঁধা পড়েন বিবাহবন্ধনে। অর্পিতার চিরকালের স্বপ্ন ছিল, কোনও এক প্রাসাদে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে তাঁর। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য হায়দরাবাদের ফলকনামা প্যালেস বুক করেন সলমন তাঁর আদরের বোনের বিয়ে উপলক্ষে। সেখানে এক এলাহি অনুষ্ঠানে অর্পিতা আর আয়ুষ বাঁধা পড়েন বিবাহবন্ধনে।

আর কিছুদিন আগে আয়ুষ-অর্পিতার পরিবারে আসে ছোট্ট আহিল। এখন আর অর্পিতার জীবনে যেন অভাব নেই কোনও। সবদিক থেকে পূর্ণতায় ভরে উঠেছেন অর্পিতা। একদিন ছিলেন ফুটপাথের অনাথ এক শিশু। আর আজ এক আধুনিক রাজরানির মতো জীবন তাঁর। জীবনের নাটকীয় পরিবর্তন বোধহয় একেই বলে। -এবেলা

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *