





প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় খুদে অভিনেত্রী। একটা সময় এ খুদে অভিনেত্রী মাসের






৩০ দিনই ব্যস্ত থাকত শুটিংয়ের কাজে। লাইট, ক্যামেরা, শুটিং স্পট, সিনেমার সংলাপ, মেকআপ






এই ছিল তার জীবনের অংশ। আর হবে নাই বা কেন? বাবা সুব্রত আর মা দোয়েল দুইজনই ছিলেন চলচ্চিত্রের মানুষ। তবে মায়ের মৃত্যুর পর হঠাৎ করেই সে পর্দার আড়ালে চলে যায়। বর্তমানে ভালো আছে এই অভিনেত্রী। সে এখন পুরোদমেই ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে। কিন্তু এক সময়ের জনপ্রিয় এ শিশুশিল্পী কি আর অভিনয়ে ফিরবে? সে কি ভবিষ্যতে অভিনেত্রীই হতে চায়, নাকি অন্য কিছু? এ প্রসঙ্গে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী বলে, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে আমি ডাক্তার হব, সে লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছি, প্রফেশন কোনটা হবে তা বলা মুশকিল। তবে আমি চেষ্টা করছি সব কিছু জয় করতে।’ আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে দীঘি। আর তাই পড়ালেখা নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে আছে।
পরীক্ষার পর চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে দীঘির। এ প্রসঙ্গে সে বলে, ‘সব সময়ই অভিনয় করার জন্য বলেন সবাই, আমার কাছে যত অফার আসে তার চেয়ে বাবার কাছে বেশি আসে, বাবাকে প্রায়ই দেখি মোবাইল ফোনে বলছেন, আমি এখন অভিনয় করব না। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমি বাবার কাছে গিয়ে জানতে চাই কে ফোন করেছিল, কী ধরনের গল্প। বাবা তখন মাথায় হাত দিয়ে বলেন, এখন নয়, আগে এসএসসি পাস কর, পরে চিন্তা করা যাবে।’
দীঘি বলে, ‘আমি তো অভিনয়শিল্পী, এটা আমার রক্তে আছে। যেখানেই যাই আমাকে সবাই ভালোবাসে, সেটি অভিনয়ের জন্যই। তবে আমি আগে পড়াশোনাটা শেষ করতে চাই। কারণ একজন অভিনয়শিল্পীরও পড়াশোনার দরকার আছে বলে আমি মনে করি।’ পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দীঘি। অধিকাংশ ছবিই ব্যবসা সফল। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’, ২০১০ সালে ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ এবং ২০১২ সালে ‘এক টাকার বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পায় দীঘি।