Home / মিডিয়া নিউজ / ভাইফোঁটা অনুষ্ঠান করে মিথিলা বললেন ধর্মীয় গোঁড়ামিকে না বলুন

ভাইফোঁটা অনুষ্ঠান করে মিথিলা বললেন ধর্মীয় গোঁড়ামিকে না বলুন

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা প্রায় হয়ে উঠেন খবরের শিরোনাম।

বিশেষ করে তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর খুব বেশি শিরোনামে আসছেন তিনি।মিথিলা

ভালোবেসে বিয়ে করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় চলচ্চিত্রকার সৃজিত মুখার্জিকে।

মুসলিম মিথিলার হিন্দু স্বামী সৃজিত; বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারছেন না দুই ধর্মেরই কট্টরপন্থীরা।

এর ফলে বহুবার কটূ মন্তব্যের শিকার হয়েছিলেন মিথিলা। নেট দুনিয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল- মিথিলা কি হিন্দু হয়ে গেছেন? আবার অনেকে তাকে ‘মুনাফিক’ বলেও উল্লেখ করেছেন। এসব বিষয় দেখেও এত দিন মুখ খুলেননি এ অভিনেত্রী।

কটূ মন্তব্যের শিকার হয়ে সম্প্রতি কালীপূজার উদ্বোধন ঘিরে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। তবে নতিস্বীকার করেননি মিথিলা। স্বামীর ধর্মের নানা পূজা ও পার্বনে অংশ নিতে দেখা যায় তাকে। এসব নিয়েই বারবার প্রশ্ন ওঠে। মিথিলাকে ‘মুনাফিক’ বলে প্রশ্ন করা হয় তিনি ‘হিন্দু হয়ে গেছেন’ কি না। এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে জবাব দিলেন তিনি।

নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে মেয়ের প্রথম ভাইফোঁটা দেওয়ার ছবি টুইটারে শেয়ার করেন মিথিলা। তারপরই নেটিজেনদের উদ্দেশ করে লেখেন, “সমস্ত প্রকারের ধর্মীয় গোঁড়ামিকে না বলুন। আর উৎসবের আনন্দকে উদযাপন করুন, উপভোগ করুন। আর আমি ইচ্ছাকৃতভাবেই জোর গলায় একথা বলছি। ‘মুনাফিক’ আর ‘আপনি কি হিন্দু হয়ে গেছেন?’- এ ধরনের অপদার্থ মার্কা মন্তব্যগুলো নিজেদের কাছেই রাখুন।”

উল্লেখ্য ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর মনের লেনা-দেনা। এ জুটির সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তারা।

করোনার এই সংকট শুরুর আগে থেকে দুজন দুই দেশে অবস্থান করছিলেন। গত ১৫ আগস্ট কলকাতায় গিয়েছেন মিথিলা। প্রথমবারের মতো কলকাতায় শ্বশুরবাড়িতে দূর্গাপূজা উদযাপন করেন মিথিলা।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *