





ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান : দেরি হয়ে যাচ্ছে, হারি আপ। আহা সান চলে যাবে তো। অ্যাই সুমন






ভাই, সব রেডি? চলো চলো। মুখের মেকাপ ঠিক করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয়






অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। শ্রাবণী ফেরদৌস পরিচালিত রবীন্দ্রজয়ন্তীর বিশেষ নাটক ‘প্রতিবেশিনী’র সেটে কথা হচ্ছিল এই প্রতিবেদকের।






প্রভা বলেন, এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করতে আমার খুব ভালো লাগে। কিছু কাজ আছে যা একান্তই নিজের জন্য করি। ‘প্রতিবেশিনী’ নাটকটিও তেমন একটি কাজ।
এই নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা ‘বেজায়’ ভালো উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, এই নাটকে কাজ করে খুবই ভালো লাগছে। শ্রাবণী আপু ও শুভ্র ভাইয়া অত্যন্ত মেধাবী নির্মাতা। তাদের নির্মাণে কাজ করতে পারলে ভালো লাগে। পাশাপাশি ‘আলাদা’ একটা ব্যাপারে আপু-ভাইয়ার কাজে আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ বেশি থাকে। সেটা হচ্ছে ‘ডিফরেন্ট’ কনসেপ্ট।
কেমন কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন জানতে চাইলে প্রভা এ প্রতিবেদককে বলেন, সবসময় কো-আর্টিস্টের সঙ্গে ফিফটি-ফিফটি স্ক্রিন শেয়ার করতে ভালো লাগে। কখনই টুয়েন্টি-এইটটি কিংবা থার্টি-সেভেনটি ষ্ক্রিন শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনা।
বিশেষ দিবসের নাটক মানেই ‘এক্সট্রা’ এফোর্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোন ধরণের নাটকে আমরা যারা আর্টিস্ট তারা তাদের জায়গা থেকে বেস্ট এফোর্টটা দেয়ার চেষ্টা করি। তবে বিশেষ দিবস এলে কেয়ারিংটা বাড়ে। যেটা রবীন্দ্রনাথ-নজরুল কিংবা শরৎচন্দ্রের গল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ করে হয়। এবং সে অনুযায়ী চেষ্টা করি নিজের চরিত্রটা কীভাবে ‘বেস্ট’ করে ফুটিয়ে তোলা যায়। এজন্য এক্সপেরিমেন্ট করি, অনুশীলন করি।
রবীন্দ্র-নজরুল-শরৎ এর গল্পে কাজ করতে হলে মানসিকভাবে শিল্পী-নির্মাতাদের সেসময়টায় ফিরে যেতে হয়। সে অভিজ্ঞতাও শেয়ার করলেন প্রভা। তিনি বলেন, আমি রবীন্দ্র-নজরুল-শরৎ এর প্রচুর বই পড়েছি। কম-বেশি সিনেমাও দেখেছি। তাই নিজেকে ওইসব চরিত্রে মানিয়ে নিতে পারি। কখনো বুঝতে অসুবিধা কিংবা ভুল হলে তা সিনিয়রদের কাছ থেকে জেনে নিই। তবে হ্যাঁ, ঠিকঠাক অভিনয়টা না করতে পারলে মনের ভেতর খুঁতখুতে আবহাওয়াটা কালবৈশাখীতে রুপ নেয়।