





সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে ‘ক্র্যাশ’ শব্দটা এখন ব্যাপক পরিচিত। সাধারণ অর্থে,






ক্র্যাশ খাওয়া মানে কাউকে প্রথম দেখাতেই তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়া। সাধারণত খেলা






বা বিনোদন জগতের আকর্ষণীয় তারকাদের প্রতি ভক্তদের ক্র্যাশ খেতে দেখা যায়।






সাধারণ নারী-পুরুষও একে অন্যের প্রতি ক্র্যাশ খেতে পারে। তবে সেলিব্রেটিদের মতো সেটি প্রকাশ্যে আসে না। এই ক্র্যাশের ফাঁদে
পড়েছিলেন ‘মাফিয়া গার্ল’ খ্যাত জানাতুল নাঈম এভ্রিলও। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র আলোচিত ও সমালোচিত এই প্রতিযোগী তখন সাধারণই ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি নাকি নাট্যজগতের এক অভিনেতার ওপর ক্র্যাশ খেয়েছিলেন। সম্প্রতি সে কথাই শেয়ার করলেন এ উঠতি তারকা।
এভ্রিলের ক্র্যাশের মানুষটা হচ্ছেন নাট্যজগতের জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুন নুর সজল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ছোটবেলায় যে তারকাকে মনে ধরেছিল, সেই সজলের বিপরীতেই একটি খণ্ডনাটকে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। নাটকটিতে তিনি সজলকে পেয়েছেন নায়ক হিসেবে।
‘এমনও তো প্রেম হয়’ শিরোনামের এই খণ্ড নাটকটি পরিচালনা করবেন জুনায়েদ বিন জিয়া। আহসান হাবিব সকালের রচনায় নাটকটিতে এভ্রিলের বিপরীতে আরও আছেন পাভেল ইসলাম। নাটকে এভ্রিলের চরিত্রটির নাম স্নেহা। পেশায় যিনি একজন ডাক্তার।
নাটকের কাহিনিতে দেখা যাবে, সাহিল ও স্নেহার সুখের সংসার। এরই মাঝে বিদেশ থেকে আসেন স্নেহার প্রাক্তন প্রেমিক রিয়াদ। তার সঙ্গে গোপনে গোপনে দেখা করেন স্নেহা। যেটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না সাহিল। এই নিয়ে স্নেহা ও সাহিলের মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। তার পরই নাটকের গল্প মোড় নেবে অন্যদিকে।
নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে এভ্রিল বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই এমন একটি নাটকের অপেক্ষায় ছিলাম। গল্পটি আমার মনের মতো। এখানে আমাকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে। এছাড়া সজল ভাইয়ের ওপর আমি ছোটবেলায়ই ক্র্যাশ খেয়েছিলাম। নাটকে তিনি আছেন জেনে আরও বেশি আনন্দিত হয়েছি।’
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ‘এমনও তো প্রেম হয়’ নাটকের শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগের দিন সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন নাটকের নায়িকা এভ্রিল। যার কারণে শুটিং কিছুদিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে নাটকটির শুটিং শুরু হবে বলে জানা গেছে। – সূত্রঃ কন্ঠ ৭১