Home / মিডিয়া নিউজ / জেলখানাতেও নারীসঙ্গ পেতে চায় ইয়াবা ডন কার্লোস

জেলখানাতেও নারীসঙ্গ পেতে চায় ইয়াবা ডন কার্লোস

সময়ের আলোচিত চরিত্র ইয়াবা ডন কার্লোস বর্তমানে কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।

সেখানেও সে নারীসঙ্গ পেতে চায় বলে জানিয়েছে কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। প্রতি মাসে ৩০

হাজার টাকা দিয়ে জেলখানার ৯০ সেলে একা একটি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করেছে কার্লোস। রাতের

অন্ধকারে সেখানে নারী সরবরাহ করার জন্য জেলের কয়েকজনকে টাকার লোভ দেখিয়েছেন।

যদিও জেলখানাতে সে সুযোগ তাকে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কার্লোসের নির্যাতনের শিকার তার বাসার এক কাজের মেয়ে। গত ৩০শে জুনও কার্লোস নেশাগ্রস্ত হওয়ার এক পর্যায়ে কাজের মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। হত্যা করতে পরীবাগের দিগন্ত টাওয়ারের নিজ বাসার সাত তলা থেকে ফেলে দেয়। বাসার অপর কাজের লোক ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা এবং তার স্ত্রীকেও বেধড়ক মারপিট করে। নির্যাতনে কাজের মেয়েটির ডান হাত-পা এবং কোমর ভেঙে গেছে। নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গেয়ে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন কাজের মেয়েটি।
৩০ বছর বয়সী নির্যাতিত ওই নারী জানান, তিনি আগে গার্মেন্ট ও কয়েকটি বাসায় কাজ করেছেন। বছরখানেক আগে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে থাকতেন রিকশাচালক বাবার সংসারে। এই অবস্থায় নাজমা নামের এক মহিলা তাকে ওই বাসায় কাজ দেয়। নাজমা তাকে জানিয়েছিলো, প্রতিমাসে তাকে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। সে মোতাবেক গত মাসের ১৬ তারিখে তিনি কার্লোসের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেন। ওইদিনই তার মোবাইলফোন কেড়ে নেয়া হয়। বাইরে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়। বাসাটিতে সালেহ আহম্মেদ, তার স্ত্রী ও বৃদ্ধা এক কাজের বুয়া থাকতেন। দ্বিতীয় দিনই তাকে দিয়ে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ কাজ করায়। এসব দেখে ভয় পেয়ে কাজ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাকে যেতে দেয়া হয়নি। উল্টো মারধর করে।

এই গৃহকর্মী বলেন, কার্লোস সব সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে নেশা করতো। মেয়ে সেজে থাকতো। তার প্রসাধনরুম বিদেশি কসমেটিকস-এ ভর্তি। সেগুলো দিয়ে সাজগোজ করতো। মেয়েদের অন্তর্বাস পরে থাকতো। যে তাকে কাজে দিয়েছিলো সে কখনো এ বিষয়গুলো তাকে বলেনি। বলেন, তিনি ১৫ দিন ওই বাসায় কাজ করেছিলেন, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তাকে কখনো বাইরে বের হতে দেখেননি। যখন খাবার সময় হতো তখন দরজায় নক করতো। দরজা খুলে খাবার নিয়ে নিতো। ওই ঘরে প্রবেশ অন্য সবার জন্য নিষেধ ছিল। ডাক পড়লেই কেবল যেতে পারতো। তবে কোনো কোনো দিন ডাইনিংরুমে এসেও খাবার খেতো। যখন যেটা দরকার হতো, সেটা তার ড্রাইভারসহ আরো যারা আছে তাদের হুকুম করতো, সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সামনে হাজির হয়ে যেতো। প্রতিদিন অন্তত ৫টি করে ডাব খেতো।

গৃহকর্মী বলেন, যখন নেশা বেশি করতো তখন তার ডাক পড়তো। স্ত্রী ও তাকে দিয়ে একসঙ্গে মাস্টারবেশন করাতো। প্রথমদিকে এসব কাজে রাজি না হওয়ায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হতো। হাতুড়ি পেটা করতো। তার স্ত্রী এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতো কিনা জানতে চাইলে নির্যাতিত এই গৃহকর্মী বলেন, তার প্রতিবাদ করার কোনো সাহসই ছিল না। সে নিজেও নির্যাতনের ভয়ে থাকতো। নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক আগেই তার পা ভেঙে গেছে। সে ছিল তার ১১ নং স্ত্রী।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *