Home / মিডিয়া নিউজ / সবাই মিলে আমাকে সংগীতশিল্পী বানিয়ে দিচ্ছেন?

সবাই মিলে আমাকে সংগীতশিল্পী বানিয়ে দিচ্ছেন?

ফজলুর রহমান বাবু ছোট ও বড় পর্দার তারকা। অভিনয় করছেন। অভিনেতা হিসেবে তাঁর রয়েছে

যথেষ্ট খ্যাতি। তিনি সংগীতশিল্পী। ভালো গান করেন। পেশাদার শিল্পী না হলেও তাঁর গাওয়া গান এরই মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

►অভিনয় নিয়ে সব সময়ই কথা হয়। আজ আপনার গান নিয়ে কথা বলব।
সবাই মিলে আমাকে সংগীতশিল্পী বানিয়ে দিচ্ছেন? আমি তো ভাই গান গাই শখ করে। লোক ধাঁচের গানই বেশি গাই। মাঝে মাঝে টিভি নাটক কিংবা চলচ্চিত্রের পরিচালক এসে অনুরোধ করেন। আর এ ধরনের আবদার যাঁরা করেন, তাঁরা সবাই আমার বন্ধু মানুষ। না করতে পারি না। বন্ধুদের মন রক্ষার্থে গান গাইতে হয়।

►ইদানীং কোনো বন্ধুর অনুরোধ রেখেছেন?
ভালোই বলেছেন। এবার ভারতের একটি বাংলা ছবির গান গেয়েছি। যৌথ প্রযোজনার ছবি নয়, পুরোপুরি কলকাতার ছবি। নাম ‘সিতারা’। পরিচালক আশীষ রায়। ছবির শুটিং এখনো শুরু হয়নি।

►কলকাতার ছবিতে কীভাবে সুযোগ পেলেন?
যখন প্রস্তাব পেয়েছিলাম, তখন আমি নিজেও অবাক হয়েছিলাম। এই ছবিতে গানের সুর আর সংগীত পরিচালনা করার কথা ছিল কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যর। গত মার্চে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। এরপর এই ছবির গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করার দায়িত্ব পান ইমন সাহা।

আমি যে গানটি গেয়েছি, সেটি মরমি ঢঙের। কালিকা প্রসাদ মারা যাওয়ার পর তাঁরা গানটির জন্য অন্য রকম একটি কণ্ঠ খুঁজছিলেন। পরে জেনেছি, ছবির পরিচালককে আমার ব্যাপারে ইমন সাহা বলেছেন। তাঁরা আমার কিছু গান শুনেছেন। আমার সঙ্গে কথা হলো। এভাবেই একদিন উত্তরায় ইমন সাহার স্টুডিওতে গিয়ে গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে এলাম।

►আপনি তো কয়েকটি ছবিতে গান গেয়েছেন।
হ্যাঁ, ‘মনপুরা’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ আর ‘নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার’। ‘মনপুরা’ ছবিতে ‘নিধুয়া পাথারে’ আর ‘সোনাই হায় গায় রে’ গান দুটি গেয়েছিলাম। এই দুটি গানের জন্য বাচসাস পুরস্কার পেয়েছিলাম।

►আপনার গাওয়া গান নিয়ে অ্যালবামও বেরিয়েছে।
তা বেরিয়েছে। আমি তো বলেছি, আমি সংগীতশিল্পী না। নিজেকে সংগীতশিল্পী মনে করি না। আমার গান মানুষ শুনে, পছন্দ করে, এটা আমার সৌভাগ্য। তার জন্য সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

►এবার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা বলুন।
খুব কাছাকাছি সময়ে আমার অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাবে—বদরুল আনাম সৌদের ‘গহীন বালুচর’, তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’ আর গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’। তিনটা ছবি তিন ধরনের। প্রতিটি ছবির অন্য রকম গল্প। আর পরিচালকেরাও সেভাবেই তৈরি করেছেন। আশা করছি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।

►আর টিভির নাটক?
আপনার সঙ্গে যখন কথা বলছি, তখন একটি ধারাবাহিক নাটকেরই শুটিং করছি। নাম ‘ডি-২০’। একটি ফ্ল্যাটের নম্বর। সরকারি কলোনির মানুষজন, তাদের জীবনযাপন আর সংস্কৃতি নিয়ে গল্প। লিখেছেন বৃন্দাবন দাস, পরিচালক সাগর জাহান। আমরা শুটিং করছি উত্তরায়, স্বপ্নীল শুটিংবাড়িতে। এখানে অভিনয় করছি আমি, চঞ্চল চৌধুরী, প্রাণ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শাহনাজ খুশিসহ আরও অনেকে।

►আমরা আপনার অভিনয় যেমন পছন্দ করি, তেমনি আপনার গানও। কারণ তা একেবারেই অন্য রকম।
ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন। -প্রথম আলো

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *