





পড়ন্ত বিকেলে এফডিসি-তে শুটিং না থাকলেও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের আড্ডা নিয়মিত জমে। প্রতিদিনের






মতো গত ২৫ জুলাই এফডিসির আড্ডায় যোগ দিতেই উপস্থিত হই। তখন বিকেল পাঁচটা ছুঁইছুঁই,






আড্ডা ঠিক তখনো জমে ওঠেনি। এরই মধ্যে গুণী নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর তার ‘দুলাভাই






জিন্দাবাদ’ সিনেমার ডাবিং স্টুডিওতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তার আমন্ত্রণে সাউন্ড কমপ্লেক্সে হাজির হই।






গিয়ে দেখি, ঘরে হালকা আলো জ্বলছে। সেখানে একজন নারী বসে আছেন। প্রথমে বুঝতে পারিনি তিনি কে! ঘরের লাইট জ্বালানোর পর দেখি, তিনি অন্য কেউ নন স্বয়ং চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এখানে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ সিনেমার ডাবিং করছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর প্রযোজক নাদের খান সিনেমাটির একটি গান দেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আমরাও গান দেখার আগ্রহ দেখাই কিন্তু সিনেমাটির নায়িকা মৌসুমী এ নিয়ে বেশ আপত্তি তুলেন। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্ন যখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন তিনি জানান, গানটি তার সামনে দেখালে তিনি খুব লজ্জা পাবেন। তিনি চলে যাওয়ার পর গানটি দেখানোর অনুরোধ করেন। এতে আমাদের আগ্রহ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তবে আমাদের অনুরোধে সর্বশেষ গানটি দেখানোর অনুমতি মেলে।
গানটি যখন চলছিল মৌসুমী তখন লজ্জায় মুখ লুকিয়ে রেখেছিলেন। গানটিতে মৌসুমীর সঙ্গে নাচছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গানটি দেখার পর উপস্থিত সবাই হাততালি দেন এবং প্রশংসা করেন।
এ সময় চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন, ‘গানটির শুটিং করতে গিয়ে আমি বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। আর ডিপজল ভাই আরো বেশি লজ্জা পেয়েছিলেন। বাস্তবে উনি আসলে অনেক লাজুক। তিনি আমার সঙ্গে শট দিতে গেলেই লজ্জা পেতেন। কিন্তু একা শট দিতে কোনোরকম লজ্জাই পেতেন না বরং খুব ভালো পারফরম্যান্স করতেন।’
এ সিনেমার মাধ্যমে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী দীর্ঘদিন পর জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ সিনেমায় তাদেরকে আবারো একসঙ্গে দেখতে পাবেন দর্শক।
রাজেশ ফিল্মস প্রযোজিত এ সিনেমায় ডিপজল-মৌসুমী ছাড়াও চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী ও বিদ্যা সিনহা মিম জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। তা ছাড়া আরো অভিনয় করছেন মিজু আহমেদ ও আহমেদ শরীফ প্রমুখ। কাহিনি লিখেছেন নাদের খান। সংলাপ লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু।