





অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে শুধু






দর্শকপ্রিয়তাই অর্জন করেননি, সাধারণ মানুষের কাছে পেয়েছেন ভালোবাসা। এমনকি ভিন্ন ভিন্ন






সব চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হূদয়ে আলাদাভাবে ঠাঁই করে নিয়েছেন এই গুণী অভিনেতা।






নাটক ও সিনেমার নানা প্রসঙ্গ ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সাথে।






কেমন আছেন?
ভালো আছি। ঈদের কাজ নিয়ে তো আমি পাগলই হয়ে গিয়েছিলাম। ঈদের পর থেকে একটু শান্তিতে আছি।
ঈদের কাজ নিয়ে বলুন—
আমার এখন বয়স হয়ে গেছে, বেছে বেছে কাজ করি। আমি আর অন্যদের মতো একত্রে ৫০টি নাটকে অভিনয় করি না, করতে চাইও না। এই ঈদে ১০টি নাটকে অভিনয় করেছি। এতেই আমি পাগল হয়ে গেছি। বাসায় সবাই তখন বলেছিল খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে আমি সারাদিন কি শুধু অভিনয়ই করবো! কি করবো বলুন, একটি নাটক করাও কি যা তা ব্যাপার? প্রতিটি নাটকই মনোযোগ দিয়ে করতে হয়। একটা নাটক কিংবা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ফাঁকে কিছুদিন সময় নিই। একটির কাজ করে অন্তত ৩ দিন পর নতুন আরেকটির কাজ শুরু করি। যে ২-৩ দিন আমি সময় পাই সেই ৩ দিন পরবর্তী শুটিংয়ের কস্টিউম থেকে শুরু করে স্ক্রিপ্ট, ডায়লগ, অভিনয়ের সাবটেক্সটগুলো নিয়ে চিন্তা করি। মোট কথা, একটা গ্যাপ নিয়েই একটার পর আরেকটা ফিকশনে অভিনয় করি।
অভিনীত প্রতিটি নাটক ভালোলাগা থেকেই করেছেন। তবুও যদি বিশেষ কোনো নাটকের প্রসঙ্গ বলতে হয় কোনটির কথা বলবেন?
নিজে অভিনয় করেছি বলে বলছি না, সবগুলো নাটকেরই গল্প বেশ ভালো ছিল। তার মধ্যে ‘বিকেল বেলার পাখি’ নাটকটি অন্যতম। মধ্যবিত্ত জীবনের গল্প, চরম বাস্তবতা মাত্র ৪০ মিনিটে তুলে ধরা খুবই জটিল কাজ, নাটকটিতে এই জটিল কাজটাই করা হয়েছে। এটিতে আমি একজন মধ্যবিত্ত বাবার ক্যারেক্টারে অভিনয় করেছি। এই নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
অনেকেই ঈদে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করছেন। এতে কাজের মান কতটুকু ঠিক থাকে?
এক বা দেড় মাসে যদি একজন মানুষ ৪০-৫০টি নাটকে অভিনয় করে থাকে তাহলে নাটকের মান ঠিক থাকবে কিভাবে! এগুলো সংলাপ আওড়ানো ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। এখন হাইব্রিড অভিনয়শিল্পী বেড়ে গেছে, নাটকের মান নিয়ে তারা চিন্তা করে না! আমি আগেই বলেছি একটা চরিত্র থেকে আরেকটা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য একটা বিরতির প্রয়োজন। তারা বিরতি তো দূরে থাক, রাতে একটি আর দিনে আরেকটি নাটকে অভিনয় করে। এতে কিছুতেই অভিনয়ের মান ঠিক থাকে না। একটি নাটকের মান ঠিক রাখতে শিল্পীদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। যদি ৪০-৫০টি নাটকে অভিনয় করা হয় তাহলে সেই দায়িত্ব কোনোভাবে পালন করা সম্ভব নয়।
কম বাজেট এখনকার নাটকের প্রধান সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান কী হতে পারে?
এখনকার নাটকগুলো খুব কম বাজেটে নির্মিত হচ্ছে, কথাটি সত্য। কম বাজেট থেকে উত্তরণ সম্ভব। আমাদের পরিচালকদের যে সংগঠন আছে সেটার মাধ্যমেই এর সমাধান করা যায়। সব পরিচালকরা যদি টিভি কর্তৃপক্ষকে সাথে একত্রে বসে বলে আমাদের একটি নাটক নির্মাণ করতে এত টাকা লাগবে, এছাড়া কাজটা সম্ভব হবে না তাহলে এ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। ইন্ডাস্ট্রিটা আমাদের এবং এটাকে বাঁচাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
এবার চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে বলুন—
বদরুল আনাম সৌদের পরিচালনায় ‘গহিনে বালুচর’, তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্ন জাল’-এ কাজ করেছি। আমার অভিনীত এই ৩টি ছবি এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করি এ বছরেরই মুক্তি পাবে। এরমধ্যে ‘গহিনে বালুচর’ ছবিটিতে গানও গেয়েছি আমি।
বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত?
বর্তমানে ‘মহামানবের দেশে’ নামের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। অনেক সুন্দর একটি গল্পের নাটক এটি।-ইত্তেফাক