





বলিউডের অন্যতম সেরা সুরকার আনু মালিক। তিনি একাধারে সঙ্গীত পরিচালক সুরকার এবং






সঙ্গীতশিল্পী বিভিন্ন চলচ্চিত্রে তিনি তার এই সঙ্গীত দিয়ে থাকেন সেই আশির দশক থেকে তিনি তার






এই সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের পারদর্শীতা দেখিয়ে আসছেন তার কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ






সঙ্গীত পরিচালনা বিভাগে জাতীয় পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করে নিয়েছেন






অলিম্পিকে ইসরায়েলের স্বর্ণপদক, ভারতের সুরকার আনু মালিক ও ১৯৯৬ সালের বলিউড সিনেমা ’দিলজালে’ ছবির একটি গান; মিলটা কোথায়? টোকিও অলিম্পিকে শৈল্পিক জিমন্যাস্টিক বিভাগে সোনা জেতার পরই বেজে ওঠে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত ’হাতিকভাহ’। তাতেই মিলটা পাওয়া গেলো পরিষ্কার। ২৫ বছর আগের আনু মালিকের সুর করা হিন্দি সিনেমা ’দিলজালে’র ’মেরা মুলক মেরা দেশ’ গানটিই যেন অন্য ভাষায় শুনলেন অলিম্পিকের ভারতীয় দর্শকরা!
এমনিতে আনু মালিকের বিরুদ্ধে সুর নকলের অভিযোগ আগেও উঠেছিল। তাই বলে একটি দেশের আস্ত জাতীয় সংগীত কপি করে দেওয়াটা একটু বাড়াবাড়ি বটে। কপি করা সুরে হিন্দি গানটাও আবার দেশাত্মবোধক। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এতদিন এটি কেউ ধরতেই পারেনি। আনু মালিকও সম্ভবত ধরে নিয়েছিলেন, যেচে কে শুনতে চাইবে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত! আর তাই কপি ধরা পড়লো ২৫ বছর পর! অলিম্পিকে ’হাতিকভাহ’ বেজে ওঠার পরপরই ঝড় ওঠে নেটপাড়ায়। একের পর এক আসতে থাকে ট্রলের ঢেউ।
ট্রলকারীদের মধ্যেও দেখা গেছে দারুণ সৃজনশীলতাও। একজন লিখেছেন, ’শুধু গানের সুর কপি করাটাই বড় কথা নয়। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণাও করতে হয়েছে। ঠিক কোন দেশের পক্ষে সহসা অলিম্পিকে সোনা জেতা সম্ভব নয়, এটা বের করা চাট্টিখানি কথা নয়’ (কারণ স্বর্ণ জিতলেই তো জাতীয় সংগীত বেজে উঠবে!)।
আরেকজন লিখেছেন, ’আনু মালিক নিঃসন্দেহে সাহসী মানুষ। তা না হলে কেউ ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত কপি করে!’
আনু মালিক বলিউডের সঙ্গীত পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম একজন ক্যারিয়ারে বহু সিনেমায় তিনি তার সংগীত দিয়েছেন এবং যেগুলো ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে নিজের কর্মকাণ্ডকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন অনন্য পর্যায় এবং তার এই কর্মকান্ডের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার সহ বিভিন্ন সম্মানজনক পুরস্কার এ ভূষিত হয়েছেন এবং এখনও তিনি সঙ্গীত পরিচালনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন