





বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা অভিনেতা, বাঙ্গালীদের মনে অন্তর গাথা, বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়া জাগানো






সব থেকে বেশি স্টাইলিশ এ অভিনেতা। বাংলা রুপালী পর্দায় তার প্রকাশনা মানেই ভিন্ন কিছু।






তার চলচ্চিত্র মানেই সব কাজের ছুটি, বলছি বাংলা চলচ্চিত্রজগতের সেরা প্রিয় নায়ক সালমান শাহ’র কথা।






কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমায় অভিনয় করে ১৯৯৩ সালে প্রথম চলচ্চিত্রজগতে নিজেকে অভিষেক করে






একে একে অনেক সিনেমা করেন এই নায়ক। তার অভিনয় পারদর্শীতা ও গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকদের মনে
জায়গা করে নেওয়া এই নায়ক অনেক ব্যাবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছে চলচ্চিত্রজগতকে।
প্রিয় নায়ক সালমান শাহ্কে স্মরণ করে চলচ্চিত্র ’স্বপ্নের ঠিকানা’র নামে রিসোর্ট বানিয়েছেন গাজীপুরের রাশেদ খান। প্রিয় নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার একটি ভাস্কর্যও স্থাপন করেছেন সেখানে। তাতে সালমান ভক্তরা খুশি হলেও আপত্তি জানিয়েছে তার পরিবার।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলার বর্তুল (উত্তরপাড়া) গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ’স্বপ্নের ঠিকানা’ রিসোর্ট।
এর একদিন পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সালমান শাহ্র ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এসে ধর্মীয় বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে আপত্তি জানান বিষয়টি নিয়ে।
রাশেদ খানের উদ্দেশে শাহরান চৌধুরী বলেন, আপনি যদি সালমান শাহ্কে সত্যি ভালোবাসেন, তাহলে নিশ্চয় চাইবেন না তার কোনো ক্ষতি হোক, আপনার ভালোবাসার মানুষ কষ্ট পাক।
ইসলাম কি আপনাকে অনুমতি দেয় যে একজন মৃত মানুষের ভাস্কর্য বানালেন? রিসোর্ট বানান, এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। একজন মৃত মানুষকে ভাস্কর্য বানিয়ে স্মরণ করে রাখতে হবে কেন?
’তিনি তিনটা বছর আপনাদের বিনোদিত করেছে। আর চাই না বিনোদন। যদি পারেন ভাস্কর্যটা নামাবেন,’— বলেন শাহরান। আর কোনো ভক্ত যেন এমন না করেন— সে আহ্বানও জানান তিনি।
শাহরান চৌধুরী লাইভে দাবি করেন, ধর্ম অনুমোদন করে না বলে সালমান শাহের চলচ্চিত্রে আসাও তিনি সমর্থন করেননি। তিনি তার বক্তব্যে রিসোর্টটি উদ্বোধনের জন্য পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানেরও সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে ’স্বপ্নের ঠিকানা’ রিসোর্টের কর্ণধার রাশেদ খান বলেন, ’আমি সম্পূর্ণ ভালোবাসা থেকে এ রিসোর্টটি বানিয়েছি। ভাস্কর্যটিও তেমন উদ্দেশ্য থেকে করা।
এখানে বাণিজ্যের কিছু নেই। এখন ওনার পরিবারের যদি ভাস্কর্যটি নামিয়ে ফেলতে বলে, তাহলে তো সবার আগে তার যত সিনেমা, নাটক, মিউজিক ভিডিও আছে, সেগুলোর প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করা উচিত।’
’তারা যদি এভাবে বাধা দেন, তাহলে তো কোনো ভক্ত সালমান শাহকে নিয়ে কিছু করতে চাইবে না। এরপরও প্রয়োজনে আমি ভাস্কর্যটা সরিয়ে ফেলব,’— বলেন রাশেদ।
তিনি জানান, ৩ বিঘা জমির ওপর নির্মিত রিসোর্টটিতে দু’টি কটেজে ছয়টি কক্ষ আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয়নি।
সালমান শাহ’র ভাই আপত্তি জানালেও তার ভক্তরা ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়টিকে বরং ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। সালমান ভক্ত মাসুদ রানা নকীব বলেন, ’পৃথিবীর সব বিখ্যাত মানুষকে নিয়েই ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। আমি তো মনে করি, ওই রিসোর্টে যারা বেড়াতে যাবেন, তারা ভাস্কর্যটি দেখে সালমানকে নতুন করে জানার ব্যাপারে আগ্রহী হবেন।’
সালমান শাহ্ অভিনীত ছবি ’স্বপ্নের ঠিকানা’ মুক্তি পায় ১১ মার্চ, ১৯৯৫। কোরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিটিকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দ্বিতীয় ব্যবসাসফল ছবি বিবেচনা করা হয়। প্রযোজকের হিসাবে ছবিটির আয় ১৯ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, খুবই অল্প সময় চলচ্চিত্রজগত মাতিয়ে রেখে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অনেক আগেই চলে যান এ নায়ক, কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে দর্শকদের মাঝে। এ প্রিয় নায়ককে ঘিরে বর্তমানে তৈরি হয়েছে স্বপ্নের ঠিকানা নামে একটি রিসোর্ট। রিসোর্টে রয়েছে সালমান শাহয়ের ভাস্কর্য। তার এই ভাস্কর্য ইসলামকে অবমাননা করে বলে, ভাস্কর্যটি নামনোর জন্য বলেছেন সালমান শাহ্’র ভাই শাহরান চৌধুরী।