





অনেক বার চেয়েও কথা বলতে না পারার সুযোগ পেয়ে রাগ করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ






সভা থেকে বেরিয়ে গেছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ। সভা থেকে বেরিয়ে এসে






ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন সভায় বার বার কথা বলতে চাইলেও আমাকে কথা






বলতে দেওয়া হয়নি। আমাকে কেন তাদের এত ভয়? আমি কি তাদের কাণ্ডকীর্তি ফাঁস করে দিতাম?






তিনি বলেন, এটা নোংরামি। এর মধ্যে আমি থাকতে চাই না। তাই সভা থেকে বের হয়ে এসেছি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর একবার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হওয়ার কথা থাকলেও গত বছর- তা না হওয়ায় দুই বছরের সভা এক সঙ্গে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত দুই বছরের আয়-ব্যয়সহ সমিতির নানা কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
একপর্যায়ে সভায় কথা বলার সুযোগ চান সমিতির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজ। কিন্তু প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পরও তাকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। পরে এনিয়ে সভায় হট্টগোল শুরু হয়।
এ সময় সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, এটি সাধারণ শিল্পীদের সভা। এখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বর্তমান কমিটির আর কেউ কথা বলতে পারবেন না।
সভাপতি মিশার এমন বক্তব্যের পরই রিয়াজ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে সভা থেকে বেরিয়ে যান।
বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, সাধারণ সভায় তারা (মিশা-জায়েদ) এমনভাবে কথা বলছিলেন যে বর্তমান কমিটির সব অর্জন শুধু তাদের দুজনেরই। বাকিদের কোনো ভূমিকা নেই। এসব নোংরামি।
প্রসংগত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এফডিসিতে চলছে তোড়জোড়। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নমিনেশন জমা দিয়েছেন। এবার একটি মাত্র প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেবে। মৌসুমী ও ডি এ তায়েব প্যানেল করার ঘোষণা দিলেও শেষ মুহূর্তে সেই প্যানেলটি আর গঠিত হয়নি।
গতবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর–জায়েদ খান প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। এবার বেশ আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল, তিনি তার সমর্থিত কমিটির ওপর নাখোশ। যেকারণে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে প্যানেল পরিবর্তন করতে পারেন।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছিল, মৌসুমীর প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছেন রিয়াজ। কিন্তু শেষে এসে দেখা গেল তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। নির্বাচন না করার পেছনে তিনি শারীরিক অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে দাঁড় করান।