





গল্পটা ২৬ বছর আগের। দেশের বিখ্যাত ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী হন






কৈশোরোত্তীর্ণ এক সাধারণ মেয়ে। ছবিটি তোলার আগে মেয়েটির বিশেষ কোন পরিচয় ছিল না,






তবে চঞ্চল মাহমুদের ক্যামেরার ক্লিকই বদলে দিয়েছিল মেয়েটির জীবনের বাঁক। বলছি ঢাকাই সিনেমার তারকা অভিনেত্রী মৌসুমীর কথা।






চঞ্চল মাহমুদের তোলা সেই স্থিরচিত্র দেখেই মৌসুমীকে পছন্দ করেছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা আফজাল হোসেন। পরবর্তীতে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ’কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার।
অন্যদিকে আশীষ সেনগুপ্ত ফটোগ্রাফি শিখেছেন চঞ্চল মাহমুদের কাছে। ২০০৪ সালে আশীষ সেনগুপ্ত যখন নবাগত ফটোগ্রাফার, মৌসুমী তখন দেশের জনপ্রিয় নায়িকা। সেই জনপ্রিয় নায়িকার ফটোসেশন করেই পেশাদার ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মযাত্রা শুরু করেন আশীষ সেনগুপ্ত।
গত ৩ নভেম্বর ছিল নায়িকা মৌসুমীর জন্মদিন। ওইদিনই ফটোগ্রাফার গোলাম সাব্বিরের ক্যামেরায় দৃশ্যবন্দি হলেন চঞ্চল মাহমুদ, মৌসুমী ও আশীষ সেনগুপ্ত। তিনজনকে পাওয়া গেলো একফ্রেমে। আশীষ সেনগুপ্ত বলেন, ’আমি তখন ফটোগ্রাফার হিসেবে নতুন। ওই সময়টাতে মৌসুমীর মতো জনপ্রিয় নায়িকার ফটোসেশন করা আমার জন্য এতোটা সহজ ছিল না। তখন আফতাব বিন তমিজের সহযোগিতায় মৌসুমী আমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে রাজি হয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ’ওই ফটোসেশনের একটি স্থিরচিত্র সারাদেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়। বলা চলে, ওই স্থিরচিত্রটিই ফটোগ্রাফার হিসেবে সবার কাছে আমাকে পরিচিত করিয়েছে। এজন্য আমি মৌসুমীর কাছে কৃতজ্ঞ।’