Home / মিডিয়া নিউজ / রাজ-শুভশ্রীর বিয়েতে মঙ্গলকামনা করলেন রাজের প্রথম স্ত্রী শতাব্দী

রাজ-শুভশ্রীর বিয়েতে মঙ্গলকামনা করলেন রাজের প্রথম স্ত্রী শতাব্দী

মধামের সঙ্গে বিয়ে করে ঘরে বউ এনেছে রাজ। চারিদিক থেকে আসছে তাঁদের নতুন জীবনের শুভেচ্ছাবার্তা।

বার্তা এসেছে সেই ঘর থেকেও যেখানে মিশে রয়েছে তিক্ততা। রাজ-শুভশ্রীকে বিয়ের শুভ কামানা জানালেন

রাজের প্রথম স্ত্রী শতাব্দী মিত্র। শত টুকরো হয়ে যাওয়া হৃদের ব্যাথা চাপা দিয়ে, রাজের মঙ্গলকামনা আজও করছেন তিনি। মন থেকে চাইছেন, সুখে থাকুন রাজ-শুভশ্রী।

ভাগ্য তখন মুখ ফিরিয়ে ছিল রাজের থেকে। চিত্রনাট্য নিয়ে দোড়ে দোড়ে ঘুরছে সে। সুবিধা তেমন কিছু হচ্ছে না।

দিনে-দিনে আশার আলোটাও ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছিল। সেসময় রাজের সঙ্গে দেখা হয় শতাব্দীর। ২০০০ সালে টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়েছিল তাঁদের। তারপর তা গড়ায় বন্ধুত্বে। যা ভালোবাসার রূপ নিতে খুব বেশিদিন সময় নেয়নি।

অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে তখন টালিগঞ্জে একটা বাড়িতে ভাড়া থাকত রাজ। রোজগরা প্রায় নেই বললেই চলে। সেমসয় টাকা পয়সা দেওয়া থেকে শুরু করে খাবার দাবার দেওয়া এমকি অসুস্থ হলে সেবা সবই করেছে শতাব্দী। তাঁর বন্ধুরা বলেন,

বাড়ির ফ্রিজ থেকে রাজের জন্য খাবার চুরি করতো শতাব্দী। মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে লুকিয়ে বেরিয়ে ব্রেকফাস্টের টাকা দিয়ে আসতো রাজকে। কখনও খাবার, কখনও জামা কাপড় রাজের জন্য নিজের হাতখরচের টাকা নিঃস্বার্থভাবে খরচ করেছে শতাব্দী।

তবে শুধু শতাব্দী নয়! রাজের জন্য কম করেনি তাঁর পরিবারও। যদিও প্রথমে জামাই হিসাবে তাঁকে মেনে নেননি শতাব্দীর পরিবার। কিন্তু শেষে মেয়ের জেদের কাছে হার মানে। বিয়ে হয় রাজ-শতাব্দীর। তারপর হঠাৎ বরাত খুলে যায় রাজের। পরিচালক হিসাবে হাতেখড়ি হয় টলিউডে। একের পর এক হিট সিনেমা। সাফল্যের সিঁড়ি চড়তে থাকে রাজ। সেসঙ্গে ভুলে যেতে থাকে অতীতকে। সঙ্গে শতাব্দী ও তাঁর ভালোবাসাকেও।

শুভশ্রীর প্রেমে পরে রাজ। কথাটা শতাব্দীর কানে আসতেই তিনি ফোন করেন শুভশ্রীর বাড়িতে। নায়িকাকে সরে যেতে বলেন রাজের জীবন থেকে। তার কিছুদিন পর শোনা যায় দেবের সঙ্গে প্রেম করছেন শুভশ্রীর। সেযাত্রায় রক্ষা পায় রাজ-শতাব্দীর সংসার। কিন্তু চিড় ধরে সুখী দাম্পত্যে, নড়বড়ে করে দেয় তাঁদের সম্পর্কে।

তারপর একে-একে পায়েল-মিমি একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে রাজ। চেনা রাজ দিনে দিনে হয়ে ওঠে শতাব্দীর কাছে অজানা একটা মানুষ। যা সঙ্গে থাকতে পারে না শতাব্দী। ইতি হয় সম্পর্কের। ২০১১-এর শেষের দিকে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। একরকম তিতিবিরক্ত হয়েই নাকি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শতাব্দী। তবে সব তিক্ততা ভুলে আজ রাজের ভালো চান তিনি।

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *