Related Articles
বাংলাদেশের এক সময়ের ব্যাপক আলোচিত অভিনেত্রী মুনমুন। এই অভিনেত্রী সেই নব্বই দশকের
শেষদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে হাজির হয়েছিলে। তবে এরপর তিনি বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন।
তবে দীর্ঘ সময় এই অভিনেত্রী অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। তবে আবারও তিনি অভিনয়ে ফিরেছেন।
তিনি দীর্ঘ সময় পর অভিনয়ে ফিরে এক সাথে তিনটি সিনেমায় অভিনয় করছেন। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে তার সিনেমার কাজ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এবার এই অভিনেত্রী তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন তার বর্তমান অবস্থার কথা।
ঈদ কেমন কাটলো ?
মুনমুন : এবারের ঈদ তো ঘরবন্দি হয়েই কাটলো। আমিও খুব একটা বাইরে যাই না। এই ঈদ বাসাতেই কাটলো। পরিবার ও বাচ্চাদের সাথে দুষ্টমি করে সময় গেল। ভাইয়ের পরিবার ছিল আমাদের বিল্ডিংয়ে। সবাই মিলেই ঈদ করেছি।
দীর্ঘ অবসরে ব্যস্ততা কি নিয়ে ?
মুনমুন : আসলে এমন অভিজ্ঞতা আমার আগেও আছে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আমি ঘরে নিজেকে বন্দি রেখেছিলাম। যার অভ্যাস আছে তার কাছে এই জীবনটা খুব ইজি। তাই সময়টা আমার কাছে খুব সহজেই কেটেছে। কারণ এর চেয়ে কঠিন সময় আমি পার করে আসছি।
আর ব্যস্ততা বলতে পরিবারকে সময় দিচ্ছি, ঘর পরিষ্কার করছি। বাচ্চাদের সময় দিচ্ছি, সিনেমা দেখছি। তবে টেনশন হয়। করোনায় যেন আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের কিছু না হয়। আল্লাহ সহায় হোক।
আপনার অভিনীত অসমাপ্ত সিনেমাগুলোর ভবিষৎ কি ?
মুনমুন : সিনেমা হল এখন বন্ধ। করোনা চলে যাওয়ার পরে হয়তো খুলবে সঠিক জানি না।আমার তিনটি ছবির কাজই শেষের পথে। হয়তো দু একটা দিন শুটিং করলে শেষ হয়ে যাবে। আর এই করোনা আজীবন থাকবে কিনা জানি না। তবে হলে বসে ছবি দেখা আর ঘরে বসে অনলাইনে ছবি দেখার সাথে অনেক ফারাক।তবে হ্যাঁ, বিকল্প পদ্ধতি তো মাথায় রাখতেই হবে।
এই অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে কোনো পরিকল্পনা কি ?
মুনমুন : দেশের যা অবস্থা তাতে তো পরিকল্পনা মাথায় রাখবে হবে। আমার মনে হয় একমুখী চিন্তা করলে হবে না।
এখন শুধু অভিনয় করে পেট ভরবে না। শিল্পীদের আরো একটি পার্সোনাল প্রফেশন রাখতে হবে। যেমন ছোট ব্যবসা বা ইন্টারনেটের সাহায্যে কোনো অনলাইন প্লাটফর্ম কাজ করতে হবে।
শুধু অভিনয় করে খাবো এই চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
সিনেমার শুটিং বন্ধ থাকলে বিকল্প কোনো আয়ের পথ ভাবছেন কি?
মুনমুন : অবশ্যই আমি অন্য কোনো আয়ের পথ বেছে নেবো। সিনেমাই কি শুধু আমার পরিচয়? আমি সিনেমার অভিনেত্রী দেখে কি সারাজীবন অভিনয়ের কথা মাথায় রাখতে হবে? এটা খুব খারাপ। আমার সব কাজে নিজেকে অভ্যস্ত রাখতে হবে। যারা একমুখী চিন্তা করে তারা হেরে যায়। আর যারা নানামুখী কাজ করে নিজেকে গড়ে তোলে তারাই জীবনে হতাশাগ্রস্ত হয় না। আমিও কিন্তু ফিল্ম ছেড়ে অনেকদিন বেকার ছিলাম। তারপর কিন্তু আবারও ফিরেছি। ফিল্ম ছাড়াও সংস্কৃতির আরও শাখা আছে সেই শাখাগুলো কিন্তু আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। আমিও স্টেজ শো করেছি।
সিনেমার শুটিং প্রস্তুতি চলছে এই পরিস্থিতে। আপনি শুটিং করবেন ?
মুনমুন : আমি এই মুহূর্তে কোনো শুটিং করবো না।আমার মনে হচ্ছে দেশের অবস্থা আরো কঠিন হতে পারে। আবার জানি না ভালোও হতে পারে। এটা সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন। খুব সংকটের এই সময়টা।
উল্লেখ্য, এই অভিনেত্রী দীর্ঘ ২২ বছর অভিনয় ক্যারিয়ারে নব্বইটিরও অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আর এই অভিনেত্রী বাংলাদেশের প্রায় সকল জনপ্রিয় নায়কের সাথে অভিনয় করেছে। তবে তিনি কিছু সিনেমায় অভিনয় নিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন। আর এরপর তিনি দীর্ঘ দিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। তবে তিনি অবারও অভিনয়ে ফিরেছেন। আর এবার করোনা ভাইরাসের কারণে তার কাজ বন্ধ রয়েছে। এই সময় তিনি ঘরে বন্দি রয়েছেন। তিনি বলেন এই সময় শুটিং করা অনেকটা বোকামি। আর অভিনয় করতে হলে তো মাস্ক খুলতেই হবে। যার কারণে আপাতোত সকল অভিনয় বন্ধ রয়েছে।
