





করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে দেশে এখনো লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের কারণে বিশ্বের






অনেক দেশে অনেক বাংলাদেশি আটকা পড়েছে। তেমনি নিউইয়র্কে আটকা পড়েছে অভিনেত্রী ও






চিত্রকর বিপাশা হায়াত। তিনি সেখানে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন? এছাড়া এ পরিস্থিতিতে তিনি দেশের






সাথে কিভাবে যোগাযোগ করছেন? এমান অনেক বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন দেশে এক






গণমাধ্যমের সাথে। তিনি বর্তমানে ব্রুকলিনের তার বাসায় করোনাবন্দী রয়েছেন। কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন?






নিজেকে মোটিভেট করার চেষ্টা করছি। যে পরিস্থিতিতে পড়েছি, সারাক্ষণ চিন্তা করলে নিজের মধ্যে একটা নেতিবাচক ভাইব তৈরি হবে, ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হবে। তাই আমাকে প্রথমত প্রতিরোধের প্রস্তুতি ও মানসিকতা রাখতে হবে।
জীবনযাপনে তাহলে পরিবর্তন আনতে হয়েছে?
আমার জীবনযাপন কেমন হবে, সেটা আমি ঠিক করে নিয়েছি। এই সময়টায় ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবারের সরবরাহ ঠিক রেখেছি। কিছু এক্সারসাইজ করছি। শরীর ঠিক রাখা জরুরি। গান শুনি, মনকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করতে চেষ্টা করি। খবর দেখি। ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছি। নানা পোস্ট ও ভিডিও আপলোড করছে সবাই। হয়তো ভালো মনে করেই করছিল, তারপরও আতঙ্কিত হচ্ছিলাম। তাই সরে এসেছি। মা–বাবাকে বলেছি মানসিকভাবে শক্ত থাকতে। এই ভাইরাস, যা অদৃশ্য—এ রকম একটা শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে মানসিক শক্তিটা বেশি জরুরি।
পরিবারের সবাই ঢাকায়, মনটাও তো এখানে পড়ে থাকে নিশ্চয়ই?
তা তো থাকেই। তবে তৌকীর অসাধারণভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করছে বাচ্চাদের নিয়ে। এই সময়টায় এখানে থাকার খবর জেনে অনেকেই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ থেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন তাঁরা। আমিও নিচ্ছি। করোনা সবার মধ্যে একটা ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছে।
করোনা নিয়ে আপনার উপলব্ধি কী?
করোনা আমাদের অনেক উপলব্ধি দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমরা সব ভুলে যাব। হিস্ট্রি থেকে অতীতেও মানুষ কিছু শেখেনি, ভবিষ্যতেও শিখবে বলে মনে হয় না। তবে করোনা একটা সুন্দর জীবনের জন্য নিজেকে আবিষ্কার করতে সাহায্য করছে।
এই করোনা পরিস্থিতির পর আমাদের বোধের জায়গায় কোনো পরিবর্তন আসবে না?
না। মানুষ তার দুর্দশার দিনটা দ্রুত ভুলে যেতে পারে। আর তা না হলে মানুষ সামনে এগোতে পারত না।
তিনি আরও বলেন করোনা একটি সাময়িক শিক্ষা। এই সময় কাটিয়ে মানুষ আবর বাঁচবে আবার অনেক কিছু করবে। তিনি আরও বলেন এই খারাপ সময় মানুষকে শিক্ষা দেয় কিন্তু মানুষ তা মনে রাখে না। মানুষ আবার প্রতিযোগিতা করবে। এখন যেমন মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখছি তা সব সময় এমন থাকবে না। এই খারাপ সময় গেলে মানুষ আবার পাল্টে যাবে। এই করোনা কাটিয়ে মানুষের আবর সুদিন আসবে বলেন তিনি