





বলিউডের আলচিত অভিনেত্রী রানি মুখার্জি, ২০০০-এর দশকের বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ






পারিশ্রমিক গ্রহীতা অভিনেত্রী ছিলেন রানি। কর্মজীবনে তিনি সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ একাধিক






পুরস্কার লাভ করেছেন। এখন তেমন একটা অভিনয়ে দেখা যায় না তাকে।অভিনয় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে






রানী মুখার্জী বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সাথে যুক্ত থেকেছেন। তার উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনী হচ্ছে টেম্পটেশন ২০০৫ যা তিনি নয়া দিল্লী তে করেছিলেন।
ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত সবচেয়ে অভিজাত এলাকা জুহুতে প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক যশ চোপড়ার বিশাল বাংলো। সেখানেই স্বামী আদিত্য চোপড়া ও কন্যা আদিরাকে নিয়ে বিয়ের পর থেকেই বাস করছিলেন বলিউড অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। যশ চোপড়ার মৃত্যুর পর শাশুড়ি পামেলা চোপড়া ও দেবর উদয় চোপড়াকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন এই দম্পতি। কিন্তু কদিন আগে জানা গেল, শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে উঠেছেন রানি ও আদিত্য চোপড়া।
জানা যায়, মেয়ে আদিরার জন্মের পরেই নাকি নতুন বাড়িতে উঠে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন রানি-আদিত্য দম্পতি। সম্প্রতি সেই বাড়িতে চলেও গিয়েছেন আদিত্য-রানি। কিন্তু হঠাৎ কেন এই বাড়ি বদল? কী কারণে নতুন বাড়িতে গেলেন তারা? এর জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, বাড়ি বদলের আসল কারণ।
আদিত্য চোপড়া ও কন্যা আদিরার সঙ্গে রানি মুখার্জি। ছবি: সংগৃহীত
শাশুড়ি পামেলার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক রানির। দেবর উদয়ের সঙ্গেও তাই। কিন্তু মেয়ে আদিরাকে লাইমলাইট থেকে দূরে রাখতে চান দু\’জনে। চোপড়াদের বাংলোতেই যশরাজের অফিস। আর তাই সারাদিন অনেক লোকের আনাগোনা লেগেই থাকে। সেইসঙ্গে ক্যামেরার ঝলকানি তো থাকেই। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদা বাড়িতে উঠলেন রানি। এই পরিবেশে মেয়েকে বড় করতে চান না রানি ও আদিত্য।
আর তাই নিজেদের বাংলোর কাছেই আরও একটা বাড়ি কিনে সেখানে চলে গিয়েছেন তারা। বাড়ি কাছে নেওয়া হয়েছে, যাতে আদিত্যরও সুবিধা হয়, আবার পামেলাও ইচ্ছে করলেই নাতনিকে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। কোনো কিছু দরকারে দু বাড়ির লোক এক জায়গায় সহজেই হতে পারে। আর তাই ছেলে-ছেলের বৌয়ের এই সিদ্ধান্তে না করেননি পামেলাও।
বলে রাখা ভালো, ২০১৪ সালে ইতালিতে বিয়ে হয় আদিত্য চোপড়া ও রানি মুখার্জির। পরের বছরই তাদের মেয়ে আদিরার জন্ম। তার বয়স ৪ বছর হয়ে গেলেও এখনো পাপারাজ্জির হাত থেকে বেশ দূরেই তাকে রেখেছেন রানি। ২০১৬ সালে আদিরাকে প্রথম সবার সামনে দেখা যায়। তারপর থেকে পরিবারের মধ্যেই বড় হচ্ছে সে। আর মেয়ের এই সাধারণ জীবনের জন্যই আলাদা করে বাড়ি নিলেন বাবা-মা।
উল্লেখ্য,রানি মুখার্জির দুটি ছবি গুলাম ও কুছ কুছ হোতা হ্যায় ব্যবসাসফল হয়। শেষের ছবিটির জন্য তিনি তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। এরপর তিনি অনেক ছবি করেন যার অধিকাংশই ব্যবসা সফল হয় নি। তিনি শাদ আলি পরিচালিত সাথিয়া ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি সমালোচক ও সাধারণ দর্শকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।