





মুনমুনের জন্ম ইরাকে। তবে তার পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।মাত্র ১৪ বছর বয়সে ক্যামেরার






সামনে আসেন চিত্রনায়িকা মুনমুন, বাবা ও মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার পর তাদের অর্থকষ্টে






পড়তে হয়েছিলো যার ফলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর আর পড়াশোনা করতে পারেন নি।






১৯৯৭ সালে ক্যাপ্টেন এহতেশামের পরিচালনায় ’মৌমাছি’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন।






এরপর তার প্রায় ৮০টি ছবি মুক্তি পায়। মারপিটে পারদর্শী মুনমুনকে নিয়ে নির্মাতারা নির্মাণ করেন অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমা।
তবে চলচ্চিত্রের দুঃসময়ের সুচনালগ্নে তাল মেলাতে না পেরে তিনি শিকার হন ফিল্ম পলিটিক্সের। তার বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ ওঠায় চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে দেন তিনি।
মুনমুন বলেন, আমার নামে অশ্লীলতার বদনাম আনা হয়েছিল! আমার চেয়ে অনেক বেশি অশ্লীলতায় ভরা ছবিতে অভিনয় করেছেন অনেকে। কিন্তু বিভিন্নভাবে নাম হয়েছে আমার। অথচ যখন অশ্লীলতার সময় তখন আমি ফিল্ম ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি তো চাইলে তখন টাকা কামানোর জন্য একের পর এক ছবি করতে পারতাম। তা করিনি।
এই নায়িকা বলেন, অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয়ে আপত্তি ছিল আমার। এমন পর্যায়ে যখন দেখলাম চারদিকে একই অবস্থা তখন অশ্লীলতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ফিল্মি ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালাম। ২০০৩ মাসের জুন মাসে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েছিলাম আমি। সে সময় সংক্ষিপ্ত পোশাকে অভিনয় বা গান কে করে নাই? অনেকেই এমন পোশাকে ক্যামেরার সামনে এসেছেন। তবে পলিটিক্সের শিকার হয়েছি আমি।
মুনমুন বলেন, সম্প্রতি অনুদানের ’কাসার থালায় রুপালী চাঁদ’ ও হারুন-উজ-জামানের ’পদ্মার প্রেম’ ছবিগুলিতে আমাকে বিশেষ চরিত্রে দর্শকরা দেখতে পাবেন।
বর্তমানে আমি স্বামী, দুই ছেলে যশ ও শিবুকে নিয়ে ভালো আছি। যশের বয়স ১৩ এবং শিবুর বয়স ৬ বছর পার হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে বেশ সুখেই আছি আমি।
উল্লেখ্য,১৯৯৭ সালে ক্যাপ্টেন এহতেশামের পরিচালনায় ’মৌমাছি’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। এরপর তার প্রায় ৮০টি ছবি মুক্তি পায়।
মারপিটে পারদর্শী মুনমুনকে নিয়ে নির্মাতারা নির্মাণ করেন অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমা।২০০৩ সালের পর চলচ্চিত্রের মাঝে অশ্লীলতা বা নগ্নতা জেঁকে বসে আর ঠিক তখন মুনমুন চলচ্চিত্র শিল্প থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন। এরপর তাকে বিভিন্ন সময় সার্কাস এ অভিনয় ও নৃত্য পরিবেশনা করতে দেখা যায়।