





বাংলা চলচিত্রের প্রিয়দর্শিনী ববিতা, অভিনয় নৈপুন্যে জিতে নিয়েছেন দর্শক হৃদয়, ববিতা ২৫০ এর






বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন,তবে এখন আর সিনেমায় নিয়মিত নন তিনি ।কয়েকমাস আগে






শোনা গিয়েছিল আবারও ফিরছেন তিনি কিন্তু মনের মতো চরিত্র না পাওয়াতে অভিনয়ের বাইরে তিনি।






খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছবিতে অভিনয় করার ব্যাপারে এক পরিচালকের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন ববিতা।






পরিচালককে তার চরিত্রটির ব্যাপারে কিছু কারেকশনও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চরিত্র ববিতার মনের মতো চরিত্র না হওয়ায় অভিনয় করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এর ফলে ববিতার অভিনয়ে ফিরে আসার যে আশার প্রদীপ জ্বলছিল, সেটাও আপাতত নিভে গেল। তবে অভিনয়ে আর ফিরবেন না এটা কিন্তু কখনই বলেননি তিনি। তবে এখন যে ধরনের নায়ক-নায়িকাকেন্দ্রিক ছবি নির্মিত হচ্ছে, আদৌ ববিতা আর নতুন কোনো ছবিতে অভিনয় করবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ’এখনও ছবির দর্শক আছে, এটা আমি বিশ্বাস করি। ভালো গল্পের ছবি যুগের পর যুগ দর্শক দেখতে চান।
পাশের দেশ ভারতের দিকে তাকালেই অমিতাভ বচ্চনের এখনও ছবিতে নিয়মিত কাজ করার বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ে। তাকে কেন্দ্র করেই গল্প লেখা হচ্ছে। শ্রীদেবীর মতো নায়িকাকে কেন্দ্র করেও ছবি নির্মিত হয়েছে। সেখানে যদি এমনটি হতে পারে তাহলে আমাদের এখানে কেন নয়? আমার বিশ্বাস আমাদের এখানে মেধাবী কাহিনীকার আছেন, আছেন নির্মাতাও। শুধু উদ্যোগের অভাব। উদ্যোগী হলেই আমাদের মতো যারা আছি তাদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণ সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ’নামের আগে শুধু কিংবদন্তি বিশেষণ জুড়ে দিলেই তো আর হয় না, এই বিশেষণের চেয়ে তাদের নিয়ে কাজ করিয়ে প্রমাণ করে দিন তারা সত্যিকার অর্থেই কিংবদন্তি। আমার বিশ্বাস, চাইলে নির্মাতারা অবশ্যই সেটা পারেন। শুধু শক্ত মনোবল প্রয়োজন।’ অভিনয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে একটি ছবি নির্মাণের ইচ্ছে রয়েছে তার।
প্রসঙ্গত, ববিতা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৭০-৮০-র দশকের অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। তিনি ১৯৭৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন