Home / মিডিয়া নিউজ / মান্না একটু সেলফিস ছিল : চম্পা

মান্না একটু সেলফিস ছিল : চম্পা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা চম্পা। এক সময়ের পর্দা কাঁপানো এই গ্ল্যামার কন্যা বর্তমানে

পরিবার-পরিজন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বর্তমানে অভিনয়ে খুব বেশি

সক্রিয়তা নেই তার। পুরো সময়টাই দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের।

চিত্রনায়িকা চম্পা তার একাল-সেকাল নিয়ে কথা বলেন দীর্ঘ আলোচনায় জানিয়েছেন তার জীবনের নানান গল্প।

চম্পার পারিবারিক জীবন নিয়ে বলেন, ’বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছি।

পরিবারের বাইরে কিছু ভাবছি না। এক সময় পর্দায় সময় দিয়েছি, আর সেই কারণে পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। এখন হাতে কাজ কম থাকায় ওই দূরত্বটাকে মানিয়ে নিচ্ছি। বলতে পারেন এখন আমার সময় শুধু মাত্র পরিবারের জন্য। পরিবারকে সময় দিতে পেরে খুব ভালো লাগে। আমার দুইটা নাতি রয়েছে আপনারা জানেন, আর তাদের নিয়ে খেলতে আড্ডা দিতে সময় চলে যায়।’

তিনি বলেন, ’অভিনয় দিয়ে নিজেকে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছি। শিল্পীর শেষ বলে কিছু নেই। শিল্পীর কোন বয়স নেই। আমি চলচ্চিত্রের সাথে রয়েছি এবং থাকবো। তবে এখন আর সেই সিনেমা তৈরি হয় না। বছর শেষে একটা দুইটা সিনেমার কাজ করছি।’

নিজের শখ এবং ভালোবাসা সর্ম্পকে চম্পা বলেন, ’রান্না করাটা আমার কাছে খুভ লোভনীয়। রান্না করে কৃতিত্ব নিতে খুব ভালো লাগে। আমার রান্নার প্রসংশা করলে খুব খুশি লাগে।

অন্যদিকে আমি আমার পোষাক নিজেই ডিজাইন করি। আর এই ডিজাইন দেখে যদি কেউ বাহবা দেয় সেটাও খুব ভালো লাগে। আমার ফুলের বাগানের প্রতি খুব লোভ। আমি অবসয় সময় যতটুকু পাই সেটা ওই বাগানের জন্য রাখি।’

নিজের ছোট বেলা নিয়ে তিনি বলেন, ’আমি চোখ বন্ধ করলেই ছোট বেলা দেখতে পাই। দাদা-দাদীর কোলে বসে গল্প শোনা। বড়দের হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো। হৈ-চৈ করে খেলা করা। এই সময়ে এসে খুব মিস করি। সেই দিন গুলো কতই না মধুর ছিল।’

সিনেমা জগতের স্মৃতি নিয়ে চম্পা বলেন, ’বাংলা চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ নায়কদের অন্যতম জাফর

ইকবাল। দূর থেকে দেখলেই মনে হতো একটা হিরো হেঁটে আসছে। যা বর্তমান কোন হিরোর মধ্যে পাওয়া যায় না।

অন্যদিকে মান্নার সাথে তো আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। মান্না-চম্পা মানেই দর্শকের চোখে অন্য রকম এক আমেজ ছিল।’

মান্না সর্ম্পকে চম্পা বলেন, মান্নার সাথে পর্দার সময়টা খুবই মনে পড়ে। মান্নাকে আমি খুব মিস করি। মান্না শুধু একজন হিরো ছিল না।

সে খুব হেল্পফুল একটা মানুষ ছিল। মান্নার মধ্যে দেখিছি অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা। তিনি শুধু একজন হিরো ছিলেন না, একজন আদর্শ বাবাও ছিলেন। তার ছেলের প্রতি তার দায়িত্ব দেখেছি আমি খুব কাছ থেকে। আর পর্দায় মান্নার থেকে যতটুকু পেয়েছি তার থেকে বেশিই ওকে আমি দিয়েছি। মান্না একটু সেলফিস ছিল, কাজের বাইরে কিছু বুঝতো না। কাজ শেষ তাকে আর খুঁজে পাওয়া যেতো না।

মান্নার সাথে শেষ দেখাতেয় মান্না আমাকে বলেছিল, ’ম্যাডাম অনেক দিন আপনার সাথে কাজ হয় না। এবার আপনাকে সামনে রেখে কাজ করবো। মান্নার একটা ইচ্ছাও সেইদিন আমাকে বলেছিল, সেটা হচ্ছে, মান্নার স্ত্রী শেলী ও আমাকে নিয়ে একটা সিনেমা করবে। এটাই ছিল আমাকে নিয়ে মান্নার শেষ ইচ্ছা। কিন্তু দুঃখের বিষয় ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারেনি। অকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন মান্না। সত্যি আমি মান্নাকে মনে করি।’

Check Also

আমি নায়িকা ছিলাম, নায়িকা হয়েই মরবো: নূতন

ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব চরিত্র; তিন শতাধিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *